আজ [bangla_date], [english_date]

পানিবন্দি হয়ে চরম দুভোর্গে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। টানাবৃষ্টি আর মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ার পানিতে লক্ষ্মীপুরে সড়ক, ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকার। পানিবন্দি হয়ে চরম দুভোর্গে রয়েছে এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।ফলে এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে। ঘরের মালামাল, হাঁস-মুরগি, পুকুরের মাছ ও গবাদি পশু হারিয়ে এসব এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা। স্থানীয়রা জানায়, এসব এলাকার একমাত্র যাতায়তের মাধ্যম এ সড়ক। পাশে জেলার সবচেয়ে বড় মাছের আড়ৎ মতিরহাটঘাট। এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের আসা যাওয়া ছিল। হঠাৎ এ সড়ক, পাশে ব্রিজ ও নদীর তীররক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে করে চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। দ্রুত যদি এসব সমস্যা সমাধান না করা হয়,তাহলে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে এসব এলাকার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন জানায়, বৈরী আবহাওয়া এবং গত কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্মীপুরে নদ-নদী গুলোতে পানির চাপ বেড়েই চলছে। হঠাৎ শুক্রবার ও শনিবার দু-দফার জোয়ারের পানির চাপে তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের ৩০০ মিটার সড়ক ভেঙ্গে পানি ডুকে পড়েছে কয়েকটি এলাকায়। এতে করে জেলা-উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। একই অবস্থায় নবীগঞ্জ-চরলরেন্স সড়কের ব্রিজ ধসে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্যদিকে সদর উপজেলার বুড়িরঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদীর তীররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রাম।চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন বলেন, হঠাৎ পানির চাপে সড়ক, ব্রিজ ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পাশাপাশি জেলা-উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এরপর ত্রান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
৫০হাজার মানুষ পানিবন্দি ও দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী বলেন, দ্রুত সড়ক সংস্কার ও ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য কাজ চলছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করা হবে। ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রাণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর জেলার ৫ উপজেলায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৭ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন। এছাড়া আরো অর্ধশতাধিক পয়েন্ট অতি ঝূঁকিপূর্ণ। এতে করে ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে নদীর তীরের বাসিন্দারা।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please