আজ [bangla_date], [english_date]

৯ ধর্ষণ ৮ জেলায়

সাভারে গৃহবধূ ও শিশু

সাভার প্রতিনিধি : সাভারে এক গৃহবধূকে ডেকে এনে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. শাকিল (১৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর গ্রামের সিদ্দিকের ভাড়া বাড়িতে  গণধর্ষণ এবং আশুলিয়ায় কুরগাঁও এলাকায় চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার বাবলাবনা গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে রাজু আলী (৩৫) ও একই এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ আলী (২০)। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর বাড়ি জামালপুর জেলায়। সে স্বামীর সঙ্গে ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করতো। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাসাবাড়িতে কাজ করার সুবাদে ভুক্তভোগী গৃহবধূর সঙ্গে বখাটে যুবক রাজু আলীর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর গ্রামে নিজ ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে যায় রাজু আলী (৩৫)। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর বখাটে যুবক রিয়াজ আলী (২০) প্রথমে ওই গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে জোরপূর্বক তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ধর্ষণে বাধা দিতে চাইলে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই গৃহবধূর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দুই ধর্ষককে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি জানিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে আশুলিয়ার কুরাগাঁও এলাকায় চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শাকিল (১৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সাভার মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ধর্ষক রাজু আলী ও রিয়াজকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জে তরুণী

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর (গুমগুমিয়া) গ্রামের লম্পট আজির উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সহযোগিতায় ১৬ বছরের জনৈক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। সে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার খানপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র। ধর্ষণ ঘটনা ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে আজির উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম (২৮)কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ খবর নিশ্চিত করেন থানার ওসি আজিজুর রহমান। এ নিয়ে ধর্ষিতা তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল দুপুরে তাদের হবিগঞ্জ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। মামলা সূত্রে প্রকাশ, ওই তরুণী তার ফুফু নাজমা বেগমের ঘরে দরজির কাজ শিখতে যায়।গত বুধবার সন্ধ্যার সময় নাজমার স্বামী আজির উদ্দিন ওই তরণীকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষক আজির উদ্দিন শ্বশুরালয়ে বসবাস করে স্ত্রী নাজমা বেগমের  সহযোগিতায় এ কাজ করে। এসময় ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে নাজমা। রাতে মেয়েকে বাড়িতে আনতে নাজমার বাড়িতে যান মামলার বাদী। তখন তারা তাকে ঘরে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তরুণীকে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন বাদী। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নাজমা ও তার স্বামী আজিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এস আই কামাল আহমেদসহ একদল পুলিশ রাতেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।

মাধবপুরে স্কুলছাত্রী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে এক নির্মাণ শ্রমিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা ডা. মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গত শুক্রবার বিকালে ঘরের পাশে একটি টিউবয়েলে গোসল শেষে কাপড় বদল করার সময় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর গ্রামের আক্তার উল্লাহর ছেলে নির্মাণ শ্রমিক মো. ফয়সল মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে নির্মাণ শ্রমিক ফয়সলকে আটক করে শুক্রবার রাতে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করে। ফয়সল মানিকপুর গ্রামের আজমল আলীর বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ডোমারে স্কুলছাত্রী

নীলফামারী প্রতিনিধি : ডোমারে ইয়াছিন আলী (২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অপরাধে থানায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বোড়াগাড়ী হলদিয়াবন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ইয়াছিন আলী এলাকার মো. মজিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, গত এক বছর আগে আমি পূর্ব বোড়াগাড়ীর হলদিয়াবন এলাকায় আমার নানী মোছা. নবীজান বেগমের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে আসছি। সেখান থেকেই বোড়াগাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমার মা ঢাকায় গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে কেউ ছিল না এ সময় আমি গোসল করার জন্য ঘরে কাপড় আনতে যাই। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করার পরে ইয়াছিন আলী পিছন দিক থেকে আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে।আমি তার হাত থেকে রক্ষা পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাই। কিন্তু মুখ থেকে তার হাত সরাতে না পেরে টিনের চাটিতে পা দিয়ে আঘাত করতে থাকলে আমার মামা রফিক ইসলাম শব্দ পেয়ে বাড়িতে আসলে লম্পট ইয়াছিন মামাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কান্নজড়িত কণ্ঠে জানায়, লেখাপড়ার জন্যই আমি আমার নানা বাড়িতে এসেছি। এখান থেকেই আমি লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে আমার মায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। কিন্তু এখানে এসে আমার এত বড় সর্বনাশ হবে জানলে লেখাপড়াই করতাম না। এ ঘটনায় ছাত্রীর খালাতো ভাই ইছাহাক আলী শুক্রবার রাতে ডোমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরিশালে বাকপ্রতিবন্ধী

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকার বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (৩০) ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারীকে বাসায় একা পেয়ে একই এলাকার বাসিন্দা সবুজ দাস (৫৫) ধর্ষণ করেছে। এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার ভুক্তভোগী নারীর বড় বোন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে। মামলার বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম নিশ্চিত করেন। বিমানবন্দর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শহরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন সবুজ দাস। গত সোমবার দুপুরে এক পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে বাসার রান্না ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এই বিষয়টি নারী বলতে না পারলেও স্বজনেরা কিছুটা আঁচ করতে পারেন এবং প্রতিবন্ধী একটা পর্যায়ে আকার ইঙ্গিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমন ধারণা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম জানান, প্রতিবন্ধী নারীর বোনের অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এবং অভিযুক্ত সবুজকে গ্রেপ্তারে পুলিশের টিম মাঠে আছে।’

ভাঙ্গুড়ায় দাদি

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বায়োবৃদ্ধ দাদিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যায়েদুর ইসলাম (৩০) তার আপন নাতি। গত বুধবার বিকালে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের শাহানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওইদিন রাতে পুলিশ ধর্ষিতার বাড়ি পরিদর্শন করেন। তবে ধর্ষক নাতির হুমকির কারণে ঘটনার পরপরই বৃদ্ধ দাদি বাড়ি থেকে আত্মগোপন করে। এতে অভিযোগ না থাকায় পুলিশ ধর্ষককে আটক না করে চলে আসে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত বুধবার বিকালে বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে এক সন্তানের জনক জায়েদুর তার আপন দাদিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বৃদ্ধ দাদি বিষয়টি তার ছেলেদেরকে জানায়। এ সময় ছেলেরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু জায়েদুর ও তার বাবার হুমকিতে ওইদিন রাতেই বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় বৃদ্ধ দাদি। এ নিয়ে পরিবারের অন্য ভাইদের সঙ্গে যায়েদুরের বাবার ঝগড়াঝাটি হয়। এরপর ওইদিন রাত ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষিতার বাড়িতে যায়। কিন্তু পুলিশ ধর্ষিতাকে বাড়িতে না পেয়ে এবং কেউ ধর্ষণের অভিযোগ না করায় ধর্ষককে আটক না করে চলে আসে। পুলিশ চলে গেলে ওই রাতেই যায়েদুর তার বাবা-মাসহ বাড়ি থেকে পালিয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্ষিতার এক ছেলে জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মুখে গামছা গুঁজে দিয়ে জোরপূর্বক আমার বড় ভাইয়ের ছেলে তার দাদিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা থানা পুলিশকে জানাই। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই যায়েদুরের হুমকিতে মা পালিয়ে যায়। কিন্তু আমরা এর বিচার চাই। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা জানার পরই আমি নিজেই পুলিশ ফোর্স নিয়ে ধর্ষিতার বাড়িতে যাই। কিন্তু এর আগেই ধর্ষিতা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। ফলে ভিকটিম নিখোঁজ থাকায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তাই ধর্ষককে আটক করা হয়নি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাঙ্গাবালীতে গৃহবধূ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: রাঙ্গাবালী উপজেলায় শিশু সন্তানদের সামনেই এক গৃহবধূকে (৩২) হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমার্গারেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাকিল আহম্মেদ (২১) ও আল হাদী (২২) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভিকটিমের স্বামী জানান, সে ব্যবসার কাজে বাজারে ছিল। হঠাৎ রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে তার ফোনে একটি কল আসে। ফোন রিসিভ করলে হাউমাউ শব্দ শুনতে পায়। কিছু না বলেই কলটি কেটে দেয়। পরে ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েক বার কল করেও না পেয়ে বাড়ি গিয়ে ঘরের মধ্যে টেবিলের সঙ্গে তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পাশে বসে কান্না করছেন তার দুই শিশু সন্তান। স্ত্রী সেখানে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন। অনেক ডাকাডাকি করলেও কথা বলেনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্ত্রীকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করেন। রাঙ্গাবালী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই যুবককে থানায় আনা হয়েছে। ভিকটিম পরিবারের অভিযোগ ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইটনায় শিশু

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ইটনায় পুকুরে গোসল শেষে বাড়িতে ফেরার পথে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়নের রাজী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। শিশুটিকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন আখতার তন্নী শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অন্যদিকে ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত কিশোর রাকিব (১৬) গাঢাকা দিয়েছে। সে ইটনা উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়নের রাজী গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে। সে সম্পর্কে শিশুটির আপন চাচাতো ভাই।পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুকুরে গোসল সেরে শিশুটি বাড়ি ফিরছিল। এ সময় রাকিব শিশুটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি আহত হলে তার মা চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন আখতার তন্নী শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বিষয়টি তাড়াইল থানা পুলিশকে জানানোর পর তাড়াইল থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান থানা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান এবং ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএমকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ খবরের ভিত্তিতে ইটনা থানা পুলিশের একটি টিম বিকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

 

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page