ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুলতানা রিজিয়া নাছরিন নামে এক স্কুল শিক্ষিকার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে আবদুল আলিম নামে এক অভিভাবক। এ সময় তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত ও অফিস কক্ষ ভাংচুর করে ওই অভিভাবক। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ পৌর শহরের সরকারী আড়পাড়া শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দোষি ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আহত শিক্ষিকাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে। সরকারী আড়পাড়া শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অর্চনা রাণী জানান, ঘটনার দিন সকালে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুয়াইরিয়া লাবিবা নামের এক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে মনযোগী না হওয়া বকাঝকা করে। দুপুরে ছুটির পর ওই শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যায়। এরপর দুপুর দুইটার পর ওই মেয়ের বাবা আবদুল আলিম ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের অফিস রুমে প্রবেশ করে। এরপর কেন তার মেয়েকে বকা হয়েছে তার কৈফিয়ত চায়। আমি সহ স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা না শুনে টেবিলের উপর থাকা একটি গ্লাস ছুড়ে মারে। এতে নাসরিন নামে এক শিক্ষিকার হাত জখম হয়। পরে আরো উত্তেজিত হয়ে শারিরীক ভাবে লঞ্চিত করে এবং নংরা ভাষায় গালিগালাজ করে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ জানান, অন্যায় করলে তার ব্যবস্থা অফিশিয়ালি নেওয়ার বিধান রয়েছে কিন্তু অফিস চলাকালীন সময়ে একজন শিক্ষকের উপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দোষি ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে বিকালেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে থানার ওসিকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা জানান, আমি বিকালে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর কালীগঞ্জ থানার ওসিকে জানিয়েছি মামলা নিতে। এ ছাড়া যত দ্রুত সম্ভব হামলাকারী অভিভাবক আবদুল আলিমকে আটক করতে নির্দেশ দিয়েছি। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর মিয়া জানান, ঘটনাটি আমি টিএনও স্যারের কাছ থেকে শুনেছি। কেই এখনো থানায় আসেনি আসলে মামলা নেওয়া হবে ও আসামি আটকের অভিযান চালানো হবে।