আজ [bangla_date], [english_date]

সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে শেরপুরের নকলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার # পে-অর্ডার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ঔষধ ও সরঞ্জামাধি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশ গ্রহন কারি এক ঠিকাদারের দরপত্র ও প্রে- অর্ডার ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে। আজ ১১ জুন বৃহস্পতিবার শেরপুরের নকলা থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গত ৪ জুন দরপত্র জমা করার নির্ধারিত দিন ছিল।ঘটনার দুদিন পর ৬জুন ঠিকাদারের দরপত্র ও প্রে-অর্ডার ছিনতাই হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিলো। কিন্তু এর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে আজ দুপুরের দিকে নকলা থানায় এসে অভিযোগ করেন। ক্ষতিগ্রস্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারি সজিব আল হাসান।সজিবের প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স এশিয়া ট্রেডিং, তোপখানা রোড,ঢাকা।থানায় লিখিত অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ শাহরিয়া নামে একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে অভিযোগ করা হয় নিয়ম মাফিক ওই দিন নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেন্ডার জমা দিতে গেলে তিনটি লাইসেন্সের দরপত্র (সিডিউল) ও এনআবিসি(ধানমন্ডি শাখা)ব্যাংকের ইস্যু করা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১৮টি প্রে-অর্ডার ছিনতাই করা হয়।ফলে তিনি দরপত্র জমা দিতে পারেননি ।তবে দরপত্র জমা দিতে এশিয়া ট্রেডিংএর কেউ আসেনি।জমা দেওয়ার জন্য সজিবের বন্ধু স্থানীয় বাণেশ্বর্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সবুর রনি নামে একজনকে পাঠানো হয়েছিল। রনি বলেছেন ঘটনার দিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাসাপাতাল গেইটে যাওয়ার সাথে সাথে ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ হাত থেকে দরপত্র ও প্রে- অর্ডার ছিনিয়ে নেয়।হাসপাতালে ঢুকার চেষ্ঠা করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়।এই ছিনতায়ের বিচার ও দরপত্র জমা দানের জন্য সুযোগ চেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ (ইউএইচএফপিও)স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আবেদনের কপি দেওয়া হয়েছে । সূত্র জানায় দরপত্রের ছয়টি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৬৩টি দরপত্র বিক্রি হলেও তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ১৮টি দরপত্র জমা পড়েছে।একমাত্র নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাড়া আর কোথাও ড্রপিং এর ব্যবস্থা করা হয়নি। সূত্র আরও জানায় গত ২৫ মার্র্চ ওই টেন্ডারের প্রথম ড্রপিং সম্পন্ন হয়েছিল।ওই ড্রপিং তিন লাইসেন্সে মোট ১৮টি সিডিউল জমা পড়ে।গত ৪ তারিখের ড্রপিংটি ছিল দ্বিতীয় দফায়।অভিযোগ রয়েছে নানা অনিয়মের কারনে প্রথম দফায় টেন্ডার বাতিল করা হয় ।তবে কাগজ পত্র সঠিক ছিল না বলে প্রথম টেন্ডারটি বাতিল করা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে দরপত্র জমাদানের ব্যবস্থা করা হয় বলে দাবী করেন নকলা উপজেলা ইউএইচএফপিও ডাঃ মজিবর রহমান। তিনি আরও বলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর আশেপাশে ছিনতায়ের কোন ঘটনা ঘটেনি।গত শনিবার ৬জুন অনলাইনে ছিনতাই সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি।জমাকৃত দরপত্রের কাগজ পত্র ঠিক থাকলে কার্যাদেশ দেওয়া হবে তবে অভিযোগের ভিত্তিতে টেন্ডার বাতিল করার সুযোগ নেই।নকলা থানার ওসি আলমগীর হোসেন শাহ বলেছেন অভিযোগ পেয়েছি ।পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে শক্ত ব্যবস্থা অবশ্যই নিবে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page