নিজেস্ব প্রতিনিধি : শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কল-কারখানার মালিকদের উদ্দেশে বলেছেন এ শ্রমিকরা সুদিনে আপনাদের মুনাফা এনে দিয়েছে। আজ দুর্দিনে তাদের দূরে ঠেলে দেবেন এটা হয় না। কাজেই ছাঁটাইয়ের মতো অসন্তোষ উদ্বেগকারী সিদ্ধান্তে না যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার (৮ জুন) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন এ সংকটকালে কল-কারখানা থেকে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা হবে মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো। বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন আপনারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করুন। মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি সমন্বয় করুন। অসহায় মানুষগুলোর প্রতি ভালোবাসা সহমর্মিতা সমব্যথী হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা রাখছি। মনে রাখবেন এ শ্রমিকরা সুদিনে আপনাদের মুনাফা এনে দিয়েছে। আজ দুর্দিনে তাদের দূরে ঠেলে দেবেন, এটা হয় না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতি ক্রমঅবনতিশীল। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিতে যাচ্ছে। সংক্রমিত ও সংক্রমণপ্রবণ এলাকা চিহ্নত করে শিগগিরই কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। জনগণকে ধর্য্যের সঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রতি পালনের আহ্বান জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আর উদাসিনতা নয়, ক্ষণিকের অবহেলা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। এখন থেকে সাবধান না হলে আগামী দিনগুলো আরো ভয়ংকর হতে পারে। করোনা যোদ্ধা ডাক্তারদের মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই বিষয়টি মানিবক দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। গণপরিবহনে দূরপাল্লায় অভিযোগ না থাকলেও শহর এলাকায় ভাড়া বৃদ্ধির কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকদের পাশাপাশি যাত্রীদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া না নিতে মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘরে ঘরে সুরক্ষা ও সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। ইনশাআল্লাহ এ সংকট মোকাবিলা করে আমরা চিরচেনা সজীবতায় ফিরে আসব এবং সংকটের মেঘ অচিরেই কেটে যাবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।