আজ [bangla_date], [english_date]

শিসার হাঁড়ি-পাতিল ঝালাই করেই চলে দুলালের জীবন

তৌকির আহাম্মেদ হাসু : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে বলারদিয়ার গ্রামের (চৌধুরী মোড়) এলাকার বাসিন্দা মীর মোঃ দুলাল হোসেন, বয়স ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে টানা ৩৫ বছর যাবত গ্রাম- গঞ্জের হাটে-বাজারে ঘুরে ঘুরে ছিদ্র হওয়া শিসার হাঁড়ি-পাতিল ড্রামসহ লোহার বিভিন্ন পুরাতন জিনিসপত্র ঝালাই করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

গ্রামের মানুষ তাকে দুলাল কামার বলেই চিনেন। জানা যায়, জীবন যুদ্ধে হার না মানা মীর মো.দুলাল বলারদিয়ার গ্রামের মৃত আক্কেল স্বর্ণকারের তৃতীয় পুত্র। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। তিন ছেলেসহ একজন বাক-প্রতিবন্ধী বোন মল্লিকা আক্তার এবং তার সহধর্মিণীকে নিয়েই তার সংসার। জমিতে চাষ করে খাওয়ার জন্য বাপের কোন সম্পত্তি পাননি।

পেটের দায়ে কখনও মানুষের বাড়িতে কখনও হাট-বাজারের মোড়ে ঘুরে ঘুরে ছিদ্র বা ভেঙ্গে যাওয়া শিসার হাড়ি-পাতিল, টিন, জগ, মগ ইত্যাদি ঝালাই মেরামত করে পরিবারের জন্য অন্ন যোগান। মানুষের কাছ হাত পেতে নয়, হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে বড় ছেলে আমির হোসেন (২৪) ডিগ্রী পাশ করিয়েছেন। মেজো ছেলে আমিনুর হোসেন (১৭) উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করিয়েছেন। ছোট ছেলে আদিল হোসেন (১৪) ৮ম শ্রেনীতে পড়াচ্ছেন।

এদিকে প্রতিবন্ধী বোনটিকে নিয়ে পড়েছে বিপাকে না পারছেন সংসার চালাতে না পারছেন সন্তানদের পড়াশুনার খরচ চালাতে।তাই তার জীবন যুদ্ধে প্রতিকূলতার যেন কোন শেষ নেই। মীর মো.দুলাল হোসেন বলেন,জীবনটা অনেক কষ্টের। ভাঙা বাকা হাড়ি-পাতিল মেরামত করে কোন রকম সংসার চালাই। প্রতিদিন ১৫০-২০০ টাকার কাজ করি।

অনেক সময় তাও হয় না। ঘরে প্রতিবন্ধী বোন, পুলাপানের লেখাপড়ার খরচ, সংসার খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হয়। আমার বড় ছেলে বিএ পাশ করেছে। যদি সরকার একটা চাকরী দেয় তাহলে আমার আর এত কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হবে না। আমার বয়স ৫০ বাচমুই”বা আর কত দিন। সুখ কপালে আছে কিনা আল্লাই জানে। তিনি বড় ছেলের একটা চাকুরির জন্য তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডা: মুরাদ হাসান এমপির সূ-দৃষ্টি কামনা করেন।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page