নিজস্ব প্রতিনিধি : লেংটা বাবা কথিত সাভার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাতের নতুন কেলেঙ্কারী ফাঁস হয়েছে। এবার খোদ যুব লীগের নেত্রীর সঙ্গে মদপানের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে নতুন করে সমালোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। ওই নেত্রী নিজের জানমাল ও ইজ্জত রক্ষার্থে সাভার থানা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন। একইসাথে সাভারের সংসদ সদস্য, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানেরও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এই ঘটনার পর সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে জড়িত নারী নেত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কখন কার ছবি, কার ভিডিও যে নেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই আতঙ্কে তারা দলীয় কর্মকান্ড থেকেও নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন।
সম্প্রতি সাভার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন তার সহকারী এবাদতের মাধ্যমে ওই নেত্রীকে ডেকে ইয়ারপুরের জনৈক মুছার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে দলীয় আলাপ আলোচনার কথা বললেও অকস্মাৎ মদ সেবনের আসর বসায়। ভাইস চেয়ারম্যান ওই নেত্রীকে হাত ধরে পাশে বসায় এবং মদ সেবনের জন্য অনুরোধ করতে থাকে। ঠিক এ দৃশ্যই শাহাদাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মনিকা ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে শাহাদাত এ ভিডিওচিত্রকে পুঁজি করে ওই নারী নেত্রীর কলেজ পড়ুয়া বোনকে একান্তে কাছে পাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু এমন অনৈতিক আব্দারে সাড়া না দেওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান চরম ক্ষিপ্ত হন। এর পর পরই মদ আসরের সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে বলেও ভুক্তভোগী নেত্রী অভিযোগ করেছেন।
ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওচিত্র থেকে ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাতের মুখায়ব অস্পস্ট করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সমগ্র সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নারী নেত্রীদের মধ্যে সীমাহীন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দলীয় কর্মকান্ড থেকেও নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন। আশুলিয়ার আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা নেত্রীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে বারবারই নারী ঘটিত কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠলেও দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ফলে দিন দিনই শাহাদাত ও তার নারী কেলেঙ্কারীর সহযোগিরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ইদানিং দলের নারী কর্মি ও নেত্রীদেরকেও নানারকম অনৈতিক ফাঁদে ফেলে বিতর্কিত করে তুলছে। এসব কারণে নারীরা দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতেও ভয় পাচ্ছে। মিছিল মিটিংয়ের ছবি নিয়ে ঘৃণ্য কোনো অপপ্রচারের আশঙ্কায় তটস্থ থাকছেন তারা।এ ব্যপারে ভুক্তভোগী যুবলীগ নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, বিষয়টি দলীয় ফোরামে তোলা হয়েছে সেখানেই এর সমাধান হবে। প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই আমার।