আজ [bangla_date], [english_date]

রিজেন্ট শাহেদের স্ত্রী গ্রেফতার এড়িয়ে এখন অর্থসম্পদ নিজের কব্জায় রেখেছে

বিশেষ প্রতিনিধি :  রিজেন্টের শাহেদ কাণ্ডে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধূর্ত ও কৌশলী হচ্ছেন তারই স্ত্রী সাদিয়া আরাবী রিম্মি। তিনি রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রিজেন্টে র্যাবের মোবাইল কোর্ট যেদিন অভিযান চালায় সেদিনও সাদিয়ার কন্ঠ ছিল ওদ্ধত্যপূর্ণ, হুমকিমূলক। অভিযানের পর পরই শাহেদ করিমের মন্তব্য জানার জন্য তার বাসায় ফোন করতেই তার স্ত্রী তা রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন। বলছিলেন, এতো খুশি হওয়ার কোনো কারণ নাই-দুইটা ঘন্টা ওয়েট করেন-সব হাঁসি থামিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সাদিয়া ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলে উঠেন, এ দেশটা আমরা চালাই। কে চেনে না, সবার ঘর পর্যায়ে আমাদের সম্পর্ক। শোহেদকে ঘন্টাখানেক পর ফোন দিলেই সব খবর পাবেন-দেখবেন কোথায় থাকে র্যাব, কোথায় হারায় ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু শীর্ষমহলের কঠোর অবস্থানের খবর পেয়ে এবং গণমাধ্যমসমূহে নেপথ্য কাহিনী ফাঁস করতে থাকায় রাতারাতি সাহিদার ভাবধরা মনোভাব উবে যায়, আতঙ্কিত হয়ে উঠেন তিনি। এবার তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন শাহেদের অর্থ, সম্পদ রক্ষার জন্য। তাই নিজের ভোল পাল্টে সুরও বদলে ফেলেন। মিডিয়াগুলোতে স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রীতিমত শাহেদ করিমের শাস্তি পর্যন্ত দাবি করেন। টিভি চ্যানেলসমূহে সাদিয়ার এসব বক্তব্য প্রচার করায় সাহিদা সৎ, অসহায় নারী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন, তার ব্যাপারে সাধারণ মানুষজনেরও সহানুভূতি সৃষ্টি হয়। ফলে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি হওয়া সত্তেও সাদিয়া নিজের গ্রেফতার এড়িয়ে থাকতে সমর্থ হন এবং খুবই ধূর্ততার সঙ্গে শাহেদের আশি ভাগ অর্থ সম্পদ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। এসব সম্পদ যাতে সরকার জব্দ করতে না পারে সে ব্যাপারে নানা ফন্দিফিকিরও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিটিভির সংবাদ পাঠিকা ছিলেন সাদিয়া আরাবী রিম্মি। তার মা শাহিদা আরাবী বিটিভির প্রডিউসার। ২০০৭ সালে সাদিয়ার মায়ের কাছে বাবা মারা যাওয়ার গল্প বলে সিমপ্যাথি আদায় করে সাদিয়াকে বিয়ে করে সাহেদ। আর সাদিয়ার দিক থেকে ছিলো টাকার নেশা। স্বামীর মতো তারও নেশা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তোলা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্ত্রী-এমপিসহ ভিআইপিদের সঙ্গে ছবি তুলতেন। এসব ছবি বাঁধিয়ে রাখতেন বাসায়, প্রচার করতেন সামাজিক গণমাধ্যমে। রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের ৪ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাসার নিচতলায় স্ত্রী সাদিয়া আরাবী রিম্মি ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন সাহেদ। ৩ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া ৯০ হাজার টাকা। সাইরেন বাজানোর হুটার লাগানো গাড়িতে দেহরক্ষী নিয়ে চলতেন শাহেদের স্ত্রী। শাহেদের পাপের টাকায় তিনি বিলাসী জীবনযাপন করতেন।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please