আজ [bangla_date], [english_date]

রায়হান হত্যার বিচার চেয়ে অনশনে মা ও স্বজনরা

সিলেট প্রতিনিধি : রোববার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই অনশনে বসেন সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যার বিচার চেয়ে তার মা সালমা বেগম ও স্বজনরা। মাথায় কাফনের কাপর বেঁধে নারী-পুরুষ সকলে এ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। রায়হান হত্যার মূল অভিযুক্ত সদ্য বহিস্কৃত ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ সকল আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তার মা সালমা বেগম। রায়হানের মা সালমা বেগম জানান, এই পুলিশ ফাঁড়িতেই আমার ছেলে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই আমিও এখানে এসেছি। প্রয়োজনে আমার লাশ যাবে। তবুও আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।গত ২০ অক্টোবর রায়হান হত্যাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এদিকে রায়হান হত্যায় ফাঁড়ির আরেক কনস্টেবল হারুনু রশিদও পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এদিকে রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পিবিআই’র একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা কনস্টেবল হারুনুর রশিদের সাথে গ্রেফতার টিটু চন্দ্র দাসের বক্তব্যের অমিল থাকায় ফের টিটুকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদিকে সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের নিহত রায়হান হত্যার ঘটনায় আরেক শেখ সাইদুর নামে আরেকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম। পিবিআই এর একটি সূত্র জানায়, রায়হানকে আটকের আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী ছিলেন শেখ সাইদুর রহমান। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর দিনগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই। এদিকে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত নগরের বন্দরবার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please