রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবীর ওরফে নাহিদকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ ররিবার দুপুরে শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করছিল শিক্ষার্থীরা। সাময়িক বহিষ্কারের খবরে তারা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে, ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। গত শুক্রবার রাত থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। নগরীর মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, মামলার তিন নম্বর আসামি আকিমুল ইসলাম রিফাত গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু প্রধান দুই আসামি আসিফ ও নাহিদ রাজশাহীতে নেই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান পুলিশের এই ওসি। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ২৫৪ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে সোহরাব মিয়াকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ ও নাহিদ। মারধরে তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তার মাথার তিন জায়গায় ১৫টি সেলাই ও বাম হাতের কনুইয়ের উপর ও নিচের অংশে ভেঙে গেছে। বর্তমানে সোহরাব রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সোহরাব বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
Leave a Reply