নিজস্ব প্রতিনিধি : আমৃত্যু কারাদণ্ড নিয়ে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশে বলা হয়েছে-১.প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে হচ্ছে দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পুরো সময়। ২. ৪৫ ও ৫৩ ধারা যদি দণ্ড বিধির ৫৫ ও ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫ A এর সঙ্গে মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে বুঝা যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে হচ্ছে ৩০ বছর। কিন্তু আদালত যদি স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়, অথবা ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দণ্ডিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫ A প্রযোজ্য হবে না। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিচারক যদি যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন সেক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ হবে ৩০ বছর। আর বিচারক যদি আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সেক্ষেত্রে বাকী জীবন কারাভোগ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে না। তাদের ক্ষেত্রে আমৃত্যু কারাদণ্ড হবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর। তবে ক্ষেত্র বিশেষে বিচারক যদি কারো আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডই ভোগ করতে হবে। এতোদিন পর্যন্ত যে ধোঁয়াশা ছিল সেটি পরিষ্কার হলো।