আজ [bangla_date], [english_date]

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে নেপাল

নিজস্ব প্রতিবেদক :  পরাজয় নিয়ে শুরু করা নেপালই প্রথম দল হিসেবে সাফ অনুর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে। আজ কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লীগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপাল টুর্নামেন্টের  অন্যতম ফেভারিট ভারতকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল নেপাল। এরই ধারবাহিকতায় ভারতকে হারিয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হিমালয় পাদদেশের দলটি।

তবে টুর্নামেন্ট থেকে এখনো বিদায় নেয়নি ভারত। বাংলাদেশের সমান চার পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটিরও ফাইনালে খেলার সুযোগ রয়েছে। তবে সে জন্য আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানের কাছে হেরে যেতে হবে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। ভারতের কাছে ১২-০ গোলে হেরে যাওয়া দলটির সঙ্গে বাংলাদেশ ড্র করতে পারলেও আর কোন সুযোগ থাকছে না ভারতের। ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়েছিল ভারত। ওই অর্ধে একচেটিয়া প্রাধান্যও বজায় রেখেছিল উপমহাদেশের অন্যতম ‘শক্তিশালী’ দলটি। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে অন্য এক নেপালের দেখা পায় ভারত। যাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। গুনে গুনে হজম করেছে তিনটি গোল। ম্যাচের ২১ মিনিটেই গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন অপুর্না নারজারি । বাঁ প্রান্ত দিয়ে সুমতি কুমারির  দারুন এক ক্রসের বল নেপালের গোল পোস্টের সামনে থেকেই টোকা দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন নারজারি (১-০)।

দুই মিনিট পর গোলটি পরিশোধের ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। একটি পরিকল্পিত আক্রমন থেকে ডান প্রান্তে বল পেয়ে যান আমিশা কার্কি। তিনি সেটি ক্রস করেন পেনাল্টি বক্সে ছুটে আসা সতীর্থ দীপা শাহির দিকে। বলটি পেয়েও শট নেয়ার সময় পড়ে যান নেপালি স্ট্রাইকার। দ্রুততার সঙ্গে সেটি ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার আস্তাম ওরাওন। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ফের আক্রমনে যায় ভারত। ডান প্রান্ত থেকে সুভাঙ্গি সিং এর ক্রসে উড়ে আসা বলে দারুন এক হেডের সুযোগ পেয়েছিলেন নেপালি গোলপোস্টের সামনে অবস্থান নেয়া সতীর্থ মার্টিনা থোকচোম। কিন্তু বলের সঙ্গে মাথার সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি। ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের।

ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ডি বক্সের লাইন থেকে বল পেয়ে বেশ দ্রুত ছোট বক্সে ঢুকে পড়েন অপুর্না। এ সময় নেপালের গোল রক্ষক কবিতাকে একা পেয়েও শট নিতে দেরী করায় বল ক্লিয়ার করেন নেপালের রক্ষনভাগের এক খেলোয়াড়। ফলে নিজের দ্বিতীয় গোল থেকে বঞ্চিত হন অপুর্না। ৪৫ তম মিনিটে গোলের আরো একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ভারতের এই স্ট্রাইকার। ফলে ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় ভারতীয়দের। বিরতি থেকে ফিরে কোথায় যেন হারিয়ে যায় ভারতীয় নারীরা। অন্য চেহারার নেপালকে দেখে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। ঘুরে দাঁড়ানো নেপাল ৪৮তম মিনিটেই সমতায় ফিরে আসে।

সুভাঙ্গি সিংয়ের ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে সময় নেয়া ভারতীয় গোলরক্ষক আনশিকার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন আমিশা কার্কি। তার যোগান থেকে বল পেয়ে ফাঁকা পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন সতীর্থ অঞ্জলি চাঁদ (১-১)। ৬৯তম মিনিটে আমিশাকে বক্সে বিপজ্জনক ভাবে আঘাত করলে পেনাল্টি পায় নেপাল। স্পট কিক থেকে গোল করে নেপালকে এগিয়ে দেন প্রীতি রায় (২-১)। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে প্রীতির আড়াআড়ি ক্রস থেকে নিখুঁত শটে দলকে ৩-১ ব্যবধানে নিয়ে যান নেপালী স্ট্রাইকার আমিশা কার্কি। এতেই পুর্ন ছয় পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে হিমালয় কন্যারা।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page