আজ [bangla_date], [english_date]

বেড়েই চলেছে কিশোরী নিখোঁজের ঘটনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ১৫ দিনে ৭ জন কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় জন-মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও নিখোঁজের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। নবীনগর উপজেলায় গত ১৫ দিনে ৭টি নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি অন্তর্ভুক্ত হতে দেখা গেছে। তারা হলেন, উপজেলার হুরুয়া গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে রোনা আক্তার(১৬),বাড়াইল গ্রামের মৃত লোকমান মিয়ার মেয়ে সোহানা আক্তার(১৭), বাঘাউরা গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার(১৫), সাদেকপুর গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে মিতু আক্তার (১২), বিদ্যাকুট গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৩), ধরাভাঙ্গা গ্রামের উছমান মিয়ার মেয়ে সেতু আক্তার (১৩) ও নবীনগর সদরের কলেজ পাড়ার আবুল খায়েরের মেয়ে প্রিয়ন্তি (১৫)। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত পুলিশ তিন জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাকিদের উদ্ধারের অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা অলস জীবন পার করছেন। তাদের এই অলস জীবনযাপনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মোবাইলে কথোপকথন ও পারিবারের অসচেতনতায় নানা সম্পর্কে জড়িয়ে পরছে কিশোর-কিশোরীরা। তার ফলশ্রুতিতে এসব ছেলে মেয়েরা পরিবার ছেড়ে গোপনে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে। নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুর রশিদ নিখোঁজের ঘটনা গুলির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক অসচেতনতায় এসব নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে। আমরা এখন পর্যন্ত যাদের উদ্ধার করেছি তাদের সবাই প্রেম ঘটিত বিষয়ে ছেলে-মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা। বাকি নিখোঁজ কিশোরীদের উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের থানার অফিসাররা অনেক পরিশ্রম করছেন।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page