আজ [bangla_date], [english_date]

বিশেষ সুবিধা আরও ৯০ দিন ঋণ খেলাপিদের

খেলাপিদের ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধার আবেদন আরও ৯০ দিন বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিষয়টির ওপর আদালতের নির্দেশনার আলোকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থা। রোববার (১৭ নভেম্বর) ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালার ওপর নতুন সার্কুলারটি জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এর আগে গত ৩ নভেম্বর খেলাপিদের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারকে বৈধ ঘোষণা করে তার মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানোর রায় দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ঋণ অনুমোদন ও আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা চিহ্নিত করে সম্ভাব্য সমাধানের বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৯ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চলতি মাসের ৩ তারিখের (নভেম্বর, ২০১৯) রায়ের আলোকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে গৃহীত সিদ্ধান্ত হলো :- বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৫/২০১৯ এর আওতায় ঋণগ্রহিতাদের আবেদন করার সময়সীমা অত্র সার্কুলার লেটার জারির তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিন বৃদ্ধি করা হলো। ফলে পুনঃতফসিল পরবর্তীতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতেও নতুন করে ঋণ দেয়া যাবে। বিশেষ নিরীক্ষা ব্যতীত টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের ঋণগ্রহিতাদের অনুকূলেও সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধাদি দেয়া যাবে। ঋণগ্রহিতার নিকট হতে প্রাপ্ত ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অনুমোদন দিতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এর আগে খেলাপিদের ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধা গ্রহণের জন্য আবেদনের সময় শেষ হয় গত ২০ অক্টোবর। ২৩ অক্টোবর সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’। সাকুলারে কেউ নতুন করে আবেদন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নির্ধরিত সময়ে যারা আবেদন করেছিলেন তা নিস্পত্তির জন্য এক মাস সময় বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পাওয়ার কথা ছিল। তবে এ সময় সুবিধাভোগীরা নতুন কোনো ঋণও নিতে না পারার কথা ছিল। এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করা হয়। এতে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সরল সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ টানা ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলের নিন্দা ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর ২৩ অক্টোবরের ওই সার্কুলারের স্থগিতাদেশ চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আদালতে একটি রিট করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     More News Of This Category

follow us on facebook page