আজ [bangla_date], [english_date]

জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন আজ

বিজয়ফুল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন আজ

নিজেস্ব প্রতিবেদক : নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ‘জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯’ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সম্মানিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করবেন। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানাবার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে‘বিজয়ফুল’তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও, চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং দলগত দেশাত্ববোধক ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর বাস্তবায়ন করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ প্রতিযোগিতা। বিকাল ৪টা থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করা প্রতিযোগিদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগিতা তিনটি স্তরে যথা: গ্রুপ-ক: শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি, গ্রুপ-খ: ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং জাতীয় পর্যায়ে বিজয় ফুল প্রতিযোগিতার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ১ জন করে প্রতিটি বিভাগে ক, খ ও গ শাখায় ৩ জন, ৬টি ক্যাটাগরিতে ১৮ জন এবং ৮ বিভাগে সর্বমোট ১৪৪ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের স্মরণে ডিসেম্বর মাসে বিজয় ফুল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিজয়ফুল শুধু একটি প্রতীক বা একটি স্মারক নয়, এটি একটি পন্থাও বটে। এ ফুলের মাধ্যমে দেশ, মু্ক্িতযুদ্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের কথা বলতে পারা। সেই সঙ্গে বিজয়ফুলকে নিয়ে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারা। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলা বিজয়ফুলের প্রতীক। বিজয়ফুলে ছয়টি পাপড়ি ও তার মাঝখানে একটি কলি রয়েছে। মাঝখানের কলিসহ সাতটি ভাগ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। অন্যদিকে, ছয়টি পাপড়ি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে স্মরণ করাবে। ছয় দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল বীজ বপন করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     More News Of This Category

follow us on facebook page