আজ [bangla_date], [english_date]

বাধ্যতামূলক ছুটিতেই সচিবের বিদায়?

নৈতিক স্খলন ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রতি জনবিদ্বেষ সৃষ্টির অভিযোগ , রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের চেয়ারে বসে সদা সর্বদাই দলীয় কর্মকান্ডেই ব্যস্ত, দলীয় নেতাদের ভঙ্গিতে ভাষণ দেয়ায় বেজায় শখ তার

বিশেষ প্রতিবেদন
সাম্প্রতিক সময়ে নানা অনৈতিকতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি, মদ-নারী নেশাগ্রস্ততাকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত সেই সচিবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। বিদেশ সফর শেষে তিনি দেশে ফিরলেই দেওয়া হবে শো’কজ নোটিশ। তার জবাবদানের প্রেক্ষিতে নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রটি জানায়, অপরাধ প্রমান সাপেক্ষে ওই সচিবকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব থেকে বিদায় করার বিষয় নিয়েও মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট আইন শাখার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আলোচিত সচিবের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রতি জনবিদ্বেষ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবের তত্বাবধানে ওই বিতর্কিত সচিবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যাবতীয় অভিযোগ পর্যালোচনা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হঠাতই চরম বিতর্কিত হয়ে ওঠা শীর্ষ আমলার দায়িত্বে থাকা সচিব কবির বিন আনোয়ার পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিরত থাকাবস্থাতেই নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলছেন। সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে নিজস্ব সমর্থক গ্রæপ পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন। নিজের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনী কার্যক্রমেও অনৈতিক হস্তক্ষেপ করেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের চেয়ারে বসে সদা সর্বদাই দলীয় কর্মকান্ডেই ব্যস্ত থাকেন তিনি, রোমান্টিক হয়ে উঠেন সাহিত্য চর্চা নিয়েও। জেলা ও থানা পর্যায়ে জনসাধারণ সম্পৃক্ত সমাবেশসহ নানা অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দলীয় নেতাদের ভঙ্গিতে ভাষণ দেয়ার ব্যাপারে তার বেজায় শখ।
তাছাড়া সরকারি বেসরকারি প্রকল্প উদ্বোধন, নিজের নামেই ফলক স্থাপন, সরকারি ত্রাণ-পুণর্বাসনমূলক কর্মকান্ড মন্ত্রী নেতাদের পরিবর্তে একা একা পরিচালনা করতেই তার বেশি আনন্দ। বিগত বন্যায় তার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তদের জন্য সরকারি বরাদ্দের ত্রাণ সামগ্রী তিনি অজ্ঞাত ক্ষমতাবলে নৌকায় তুলে চরাঞ্চলে বিতরণ করতে নিয়ে যান। ত্রাণ কাজে অংশ গ্রহণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, কাওয়াকোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমসহ আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ রওনা দিলেও তাদেরকে মধ্য নদী থেকেই অপমানজনক ভাবে ফেরত যেতে বাধ্য করা হয়। এদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় সূত্র জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও এর আওতাভুক্ত সকল দপ্তর-অধিদপ্তরে আলাপ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি সরকারি এক সফরে সুইজারল্যান্ড গেছেন। তবে তাকে ঘিরে গুরুতর সব অভিযোগ নিয়ে আলাপ আলোচনা তুঙ্গে উঠায় সচিবকে সফর সংক্ষিপ্ত করে শিগগির দেশে ফেরার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সচিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আগামি বৃহস্পতিবার নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন।
#

মন্তব্য কলাম—–
দুর্বৃত্ত লুটেরাদের শারিরিক ভঙ্গিমার সাথে হুবহু মিল পাওয়া গেল সিরাজগঞ্জে

পারভেজ মুন্না: সচিব কবির বিন আনোয়ারের নজিরবিহীন ঘটনা * পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের নানা অনিয়ম সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দেশের নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম নিয়েছে। সচিবের পক্ষে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ দাবি করে সিরাজগঞ্জের সচেতন নাগরিক ব্যানারে মানববন্ধন সমাবেশ হুমকি ধমকি নানামুখী প্রচার প্রচারনা। সংবাদপত্র অন্যদিগন্ত পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মত উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়েছে। কারো পক্ষে বিপক্ষে না গিয়ে সোজা পথ ধরলে সত্য মিথ্যার সব হিসাব কষা যায়। সাধারন দৃষ্টিতে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য কিছু বিষয় সবাই মেনে নেয়। সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে কে সাধু কে চোর তাৎক্ষণিক বুঝা না গেলেও সংবাদ প্রকাশের জের ধরে রাজনীতিবিদ সহ সকল শ্রেণী পেশাজীবী ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান সভা সেমিনার রাজপথে উত্তপ্ত জ্বালাময়ী ববক্তৃতা,ভয়ভীতি প্রদর্শনী নিয়মিত দেখা যায়। তবে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মিছিল মিটিং মানববন্ধন গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরব উপস্থিতির প্রমান দেখা মিলেনি। খবর সত্য মিথ্যা না খুঁজে প্রথম প্রশ্ন যে কেউ তুলতে পারে। পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার সরকারের দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তি। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হলে কি ধরনের প্রদক্ষেপ নিতে হয় সেটা নিশ্চয়ই অজানা নয়। যদি ধরে নেই সংবাদটি মিথ্যা! কিন্তু তার পক্ষে সিরাজগঞ্জের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে রাজপথে উত্তপ্ত প্রতিবাদের ভিডিও ফুটেজ দেখলে এবং বিশ্লেষণ করলে কবির বিন আনোয়ার সরকারের সচিব এই পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ভিডিও ক্লিপে উপস্থিত সিরাজগঞ্জের রাজনীতিবিদ সমাজের বিশিষ্টজনেরা কবির বিন আনোয়ারকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদের কোথায় অসত্য তা খন্ডন না করে ঢালাওভাবে যে ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে তা বাস্তবে রাজনীতিবিদ দূর্বৃত্ত লুটেরাদের শারীরিক ভঙ্গিমার সাথে হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো সচিবের সুনাম বৃদ্ধি করতে মানববন্ধনে উপস্থিত সুশীল সমাজের বক্তৃতা বিবৃতি প্রচার প্রচারনা কতটা উপকারে আসবে জানি না। সিরাজগঞ্জের সুশীল সমাজের বক্তব্য আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা অন্যদিগন্ত মিথ্যা খবর ছেপে রাতে প্রকাশ করে ঘরে ঘরে বিতরন করা হয়। অথর্ব হয়ে পড়া মুর্খ জ্ঞানপাপীদের এমন বক্তব্য বাস্তবে মিথ্যা প্রচারকে যে সত্য প্রমানে যথেষ্ট। খবরের কাগজ যে রাতের আধাঁরে প্রকাশিত হয়ে ভোরে সূর্যোদয়ের পুর্বে পাঠকের হাতে পৌঁছায় এমন দিবালোকের সত্য জ্ঞানপাপীদের মনে থাকে না। তাইতো তালগোল পাকিয়ে বেফাঁস বক্তব্য সচিব আনোয়ারের উপকার হওয়াতো দুরের কথা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁডায়। একজন সচিব সারাদেশের উন্নয়ন কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত। ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজ এলাকার উন্নয়ন করে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী সচিব ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য হাসিল করেছেন এমনটাই প্রমান করে দেখালো সিরাজগঞ্জবাসী। ইজ্জত বৃদ্ধিতে অন্ধ ভক্তদের প্রতিবাদী মানববন্ধন সমাবেশ বক্তৃতা কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে চাকুরী বিধি লংঘনের অভিযোগ তুলতে তথ্য উপাত্ত যথেষ্ট প্রমান মিলিয়ে দিয়েছে। এদিকে মান বৃদ্ধি করতে গিয়ে প্রতারক ভুয়া সাংবাদিকের খপ্পরে পড়ে সচিব আরো কিছু প্রমান দিলেন। অনলাইন পোর্টাল ইউটিউবে প্রচার চালিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারে সচিব নিজে। অনলাইনে মানববন্ধন প্রতিবাদের খবরে সচিবকে নদীপুত্র নামে সন্মোধনের প্রমান মিলে। বনের রাজা সিংহ একথা শিশুরা বইতে পড়ে। বাস্তবে বনের রাজা যখন বনে যায় ওসমান গনি- সময় মত সেই খবর পৌঁছে জনে জনে। আপাতত দৃষ্টিতে খবরের প্রতিবাদ করতে সরকারের পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার আজ নিজেই চোরাবালিতে ফেঁসে গেছেন। তিনি সচিব নাকি সিরাজগঞ্জের নেতা এই প্রশ্ন যে কেউ এখন তুলতেই পারে। একজন পেশাদার সাংবাদিক চাইলে অকুণ্ঠ তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে কবির বিন আনোয়ারকে আকাশ থেকে মাটিতে নামানোর যথেষ্ট রসদ রয়েছে। নীতিহীন রাজনীতি আর হলুদ সাংবাদিকতার ফসল দূর্বৃত্তের সমাজে চোরের মার বড় গলা কথাটি সর্বজনীন। সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন যখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তখন সরকারের গুরুত্বপুর্ণ একজন সচিবের বিরুদ্ধে কাভার স্টোরি করে ফলাও করপ খবর প্রকাশের দুঃসাহস দেখানো সাংবাদিক মিথ্যা খবর প্রচার করছে এটা শুধু জ্ঞানপাপীরা বিশ্বাস ও সমর্থন করে। “মোটা বই দেখলে নাকি অনেকের কাছে কোরআন শরিফ মনে হয়”-দূর্বৃত্তায়নের যুগে নির্বোধদের নিকট নিজেদের মত পথের কাগজকে শুধু পত্রিকা বলে মনে হয়, অন্য পত্রিকাগুলো চিনতেও চায় না। কি খবর প্রকাশ সংবাদের লিখনির ভাষা পড়া বা বুঝার সময় কোথায়। সচেতন মানুষের নিকট সত্য মিথ্যা খবর সব কিছুই পরিস্কার। বাস্তবতায় প্রতারক দালালদের বদৌলতে সত্য প্রকাশ কঠিন চ্যালেঞ্জর মুখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। দেশে চলমান ঘটনা প্রবাহে প্রজাতন্ত্রের দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নজিরবিহীন সব অপতৎপর সাধারন জনমনে অজানা শংকার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
সিরাজগজ্ঞে সচিবের তুলকালাম অবস্থা এবং সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নামে অমর একুশের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ভাষা শহীদের ছবি বদলে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি লাগানোর ঘটনাটি ভুলঃবশত হয়েছে এমন হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের লাগাম টেনে ধরতে দেশী বিদেশী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এই ঘটনা গুলো হচ্ছে এমন ভাবনা অমুলক নয়।
#

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page