বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি মিলেছে শুটিংয়ের অনুমতি। নড়েচড়ে বসছে বিএফডিসির সংগঠনগুলো। শুটিং ফ্লোরগুলোর তালা খুলে চলছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি। প্রস্তুত ডাবিং-এডিটিং রুমগুলোও। লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিএফডিসি।বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ডাবিং ও এডিটিং প্যানেলগুলো খুলে দিয়েছি। কাজ করার জন্য অনেকেই শিডিউল নিচ্ছে। করোনার এই সময়েও আমরা মেশিনগুলো চালিয়ে পরীক্ষা করেছি। যেন কোনো কিছু নষ্ট না হয়। শুটিং ফ্লোরগুলোও পরিষ্কার করা হয়েছে। কাজের জন্য পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এফডিসিতে। বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয় পরিষ্কার করা হয়েছে। নিয়মিত সেখানে আসছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী মনির বলেন, ‘আমরা সমিতির কার্যালয় ধুয়েমুছে পরিষ্কার করেছি। জীবাণুমুক্ত করেছি। কিছুদিনের মধ্যে কয়েকটি ছবির শুটিং শুরু হবে। অনেকের স্ক্রিপ্ট নিয়ে প্রি-প্রডাকশনের কাজ চলছে। শুধু আমরাই নই, চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোও নিজেদের কার্যালয় খুলেছে। বিএফডিসির নিরাপত্তা কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, ‘শুটিংয়ের অনুমতি মেলায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে এফডিসি। এত দিন ভূতুরে বাড়ি মনে হলেও এখন অনেকেই আসছে। প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীসহ বাকিদের আনাগোনা বেড়েছে। অনেকেই শুটিং লোকেশন ঠিক করছে। আবার যে টিভি চ্যানেলগুলো নিয়মিত শুটিং করত, তারাও কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ হবে এফডিসিতে। করোনার প্রকোপে কাঁপছে বিশ্ব। মানুষ বজায় রাখছে সামাজিক দূরত্ব। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে সব ধরনের শুটিং বন্ধ ছিল। ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন নিম্ন আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তবে শুটিংয়ের অনুমতি মেলায় অনেকটাই স্বস্তিতে তাঁরা।