নিজেস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা সিটি নির্বাচনে সরকার দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর পক্ষে থাকার কারণে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন উত্তর সিটির ৫ নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল পাশা। কামাল পাশা জানান গত ৭ ফেব্রুয়ারী তার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায় সিটি নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ৫ নং ওয়ার্ডের দলীয় সমর্থন প্রাপ্ত আব্দুর রউফ নান্নুর নির্বাচনী ক্যাম্পের জন্য ই ব্লক ১ নং রোডে মোঃ নাসির নামের এক ব্যক্তির নিকট হতে বিশ হাজার টাকা চুক্তিতে এক মাসের জন্য ভাড়া নেন কামাল পাশা। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী মোঃ নাসির এর স্ত্রী কন্য সহ উক্ত রুমের ভিতরে থাকা বঙ্গবন্ধুর ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সহ সকল মালাামাল বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয় ভাংচুর চালায় এবং ওড়না বিহীন ভাবে কামাল পাশার দিকে মারমুখী হয়ে এসে বিভিন্ন উসকানী মূলক অশ্লীল কথা বলেন। তারপর স্থানীয় থানায় যেয়ে কামাল পাশার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি চুরিসহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেন মোঃ নাসির। কামাল পাশা বলেন আমার বাবা একজন শিক্ষক আর চাঁদাবাজি তো দুরের কথা আমি বা আমাদের গোটা পরিবারের কেউ কখনো কারো সাথে উচ্চস্বরে কারো সাথে কথা বলেছে এমন অভিযোগও বিরল। তিনি আরো বলেন মূলত আমাদের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় স্থানীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর সমর্থক জুয়েল রানা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে এটা তারই একটা অংশ। কামাল পাশা বলেন আমার মামলাটা হওয়ার কারণ একটাই আমি এস এ মান্নান কচির সমর্থক আর নির্বাচনে তার বড় ভাই দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত আব্দুর রউফ নান্নুর পক্ষে ছিলাম। এ বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ নাসির এর সাথে যোগাযোগ ককরার চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানা যায় ওই ওয়ার্ডে নির্বাচনের দিন ফলাফল প্রকাশে আব্দুর রউফ নান্নু বিজয়ী ঘোষনার সাথে সাথে ব্যপক বোমাবাজি ও গোলাগুলি হয় পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পল্লবী থানা পুলিশের একাধিক সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়েছিল বলেও সুত্র জানায়। এলাকাবাসী বলেন এমপি সমর্থক ও এস এ মান্নান কচি সমর্থক গোষ্ঠি একতা বদ্ধ না হলে ১৬ আসনে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দূর্ঘটনা।