নিজেস্ব প্রতিনিধি : নকল N95 মাস্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ছেলে, স্বাস্থ্য সচিব আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ মিলে যে নকল N95 মাস্ক সরবরাহ করলো অখ্যাত ঠিকাদার আবদুর রাজ্জাকের প্রতিষ্ঠান JMI গ্রুপকে দিয়ে, এটা কী আপনারা জানেন? এই নকল N95 মাস্কের জন্যই হয়তো আমরা হারাতে যাচ্ছি আরও অগণিত ডাক্তারকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ছেলে রাহাত মালিক শুভ্র আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ মিলে করোনা ইস্যু পুঁজি করে নগ্ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছে, সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এদের কারোরই ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগের নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পিতা মেয়র থাকা অবস্থায় মানিকগঞ্জের ছাত্রলীগের নেতারা তার কার্যালয় ভাংচুর করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের কারণে, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালিক অতীতে কখনোই ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলো না, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সে হাইব্রিড হিসেবে পরিচিত; তার দুর্নীতিগ্রস্ত ছেলের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে মন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ছাত্র জীবনে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি, সারাজীবন বিএনপির স্বার্থে কাজ করা সচিব আসাদুল ইসলাম শেখ হাসিনার সরকারকে বিপদে ফেলতেই নকল N95 মাস্ক আমদানি করেছে; সচিবের ছেলে এই ক্ষেত্রে লেনদেন দেখভাল করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ বিরোধী বিএনপিপন্থি ডাক্তার হিসেবে পরিচিত, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বদৌলতে মেয়াদ শেষেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বারোটা বাজিয়ে যাচ্ছে; JMI গ্রুপকে দিয়ে নকল N95 মাস্ক আমদানি করে দেশের সকল চিকিৎসককে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের অব্যবস্থাপনায় ঝুঁকির মুখে আজ দেশের স্বাস্থ্য সেবা, বিপন্ন হয়ে পড়েছে সরাসরি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকদের জীবন। অতিদ্রুত উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সামনে আরও বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে আমাদের, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপোষ করার কোনো সুযোগ নেই; স্বাস্থ্য খাতকে বাঁচাতে হলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।