ডেস্ক সংবাদ : আবারো থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুত চান-ওচাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল। তিনি আজ সোমবার যখন উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছেন, তখনই নতুন করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে পুয়ে থাই পার্টি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রকৃতপক্ষে কয়েক মাস ধরে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। তারা রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করেও বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচাকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন একটি সংবিধান তৈরি করতে হবে। রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতাকে খর্ব করতে হবে। ১৫ই অক্টোবর ব্যাংককে জরুরি অবস্থা দেয়ার পরও যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না, তখন পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেন প্রায়ুত চান-ওচা। উল্টো ফল হয়েছে তাতে। হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মী রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় সফলাব হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সোমবার পার্লামেন্টের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রায়ুত চান-ওচা বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই দেশকে ভালবাসি। কিন্তু পার্লামেন্টের অধিবেশনকে ব্যবহার করে তিনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন- এ বিষয়ে সন্দিহান তার বিরোধীরা এবং বিক্ষুব্ধ জনতা। নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে রাজতন্ত্রকে ব্যবহার বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। পার্লামেন্টে বিরোধী দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাজতন্ত্রকে ব্যবহার করছেন। এর আগে এসব দাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তিনি মোটেও নড়েন নি। এর প্রেক্ষিতে পুয়ে থাই পার্টির নেতা সোমপং আমোর্নভিবাত বলেছেন, দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দেশের বোঝাও। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দয়া করে আপনি পদত্যাগ করুন। তাহলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।