আজ [bangla_date], [english_date]

জয়ের স্বাদ পেল বেক্সিমকো ঢাকা

ডেস্ক সংবাদ : ১০৯ রান তাড়ায় বেক্সিমকো ঢাকার এক সময় প্রয়োজন ছিল তিন ওভারে ২৫। আবু জায়েদ রাহী ১৮তম ওভারে ৯ দিলে, ঢাকার শেষ দুই ওভারে দরকার হয় ১৬ রানের। সেই ১৬ রান ইয়াসির আলি রাব্বি ও মুশফিকুর রহীম নিলেন পাঁচ বলে। তাসকিন আহমেদকে ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন ইয়াসির। অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। এতে করে টুর্নামেন্টে জয়ের খাতা খুললো ঢাকা। আর চার ম্যাচ খেলে এটি বরিশালের তৃতীয় হার। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩১ ও তৌহিদ হৃদয় ৩৩ করলেও আর কেউ উইকেটে সেট হতে পারেননি। ফলে মাত্র ১০৮ রানেই থামতে হয় বরিশালকে। ঢাকার হয়ে চার উইকেট নেন রবিউল ইসলাম। শফিকুল ইসলাম দুটি উইকেট নেন তিন ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে। আরও কিপটে ছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান। চার ওভারে তিনি দেন মাত্র আট রান। তুলে নেন এক উইকেট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি বরিশাল। ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা উইকেট যেমন হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে, তেমনই রানের চাকাও ছিল ধীর। জবাবে একই সমস্যায় পড়ে ঢাকাও। শুরু থেকেই তাদের রানের গতি থাকে মন্থর। দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও নাঈম শেখকে তারা হারায় রান আউটে। দলীয় সাত রানে রবি ও ২২ রানে কাটা পরেন নাঈম। তানজিদ হাসান তামিমকে সাথে নিয়ে অধিনায়ক মুশফিক ছোট একটি জুটি গড়ে দলকে রাখেন জয়ের পথে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তামিম ফিরলে, ইয়াসিরকে নিয়ে এগুতে থাকেন মুশফিক। এ দুজনের জুটিতে প্রথম ৪ ওভারে আসে ২১ রান। ফলে শেষের ২৪ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ রান। কামরুল রাব্বির করা ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ইয়াসির রাব্বির বাউন্ডারিসহ মোট ৯ রান নিয়ে নেয় ঢাকা। আবু জায়েদ রাহীর করার পরের ওভারেও আসে ৯ রান। ফলে ১২ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৬ রানের। যা কি না ৫ বলেই দিয়ে দেন তাসকিন। তার করা ১৯তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৪ রান করা রাব্বি। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ২৩ রান করে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please