আজ [bangla_date], [english_date]

ক্ষেতলালের অধিকাংশ রাস্তা সরু যান চলাচল ব্যহত

ক্ষেতলালের রাস্তা যেন প্রশস্থ হতেই চায়না

জয়পুরহাট ঘুরে মীর আলাউদ্দিন : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ পাকা রাস্তা গুলো প্রশস্ত না হওয়ায় ওইসব রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী, শিক্ষার্থী ও ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন। এছাড়াও কৃষিপণ্য ভারি ট্রাক রাস্তার উপর লোড আনলোডের কারণে প্রায় যানযটের সৃষ্টির ফলে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, উপজেলার বড়াইল, আলমপুর, মামুদপুর ও তুলশীগঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় রাস্তা প্রশস্তের অভাবে ওই সব ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মানুষ ছোটবড়ো যানবাহন নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পৌরসভার ভাসিলা থেকে আলমপুর ইউনিয়নের ফুলদিঘী, শিবপুর থেকে মেলা গোপিনাথপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার, বড়াইল ইউনিয়নের হিন্দা সমাজ কল্যাণ থেকে থামড়া মোড়, গোলাহার থেকে আখলাশ হাইস্কুল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার, পৌরসভার বটতলী হিমাদ্রী কোল্ডষ্টোর থেকে তুলশীগঙ্গা ইউনিয়নের মনঝার বাজার হয়ে মামুদপুর ইউনিয়নের চৌমহনী বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা সরু। চার ইউনিয়নের প্রায় ৪২ কিলোমিটার রাস্তাপ্রশস্ত না হওয়ায় ওই এলাকর সকল স্তরের যান চলাচল ব্যহত জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা প্রশস্ত না হলে এমন ভোগান্তি অব্যাহত থাকবে বলে জানান এলাকাবাসী। দেশের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এলাকার কৃষি উৎপাদিত পণ্য জমি থেকেই ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে। সে কারণে এই এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা কৃষি পণ্য পরিবহনে ট্রাকের ওপর নির্ভরশীল। উপজেলার গ্রামীণ পাকারাস্তা গুলো প্রশস্ততার অভাবে ওই সব রাস্তা দিয়ে ট্রাক চলাচল অযোগ্য হয়ে পরেছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। এমনিতেই সরু রাস্তা, তার ওপর ট্রাক থামিয়ে মাল লোড ও আনলোড করার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে অন্য কোনো যানবাহন নিয়ে চলাচল করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। উপজেলার হিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান চঞ্চল বলেন, সরু রাস্তার ওপর ট্রাক থামিয়ে কৃষিজাত পণ্য লোড আনলোড করার কারণে স্কুল, কলেজগামী কমলমতি শিক্ষার্থী, পথচারী ও অটোভ্যান, রিক্সা ও নিয়ে সময়মতো তাদের ক্লাসে বা পথচারীরা গন্তবে পৌঁছাতে পারেনা। এ ছাড়া ছোটছোট যানবাহন নিয়ে চলাচলে ভোগান্তীর সম্মুখীন হতে হয়। উপজেলার কুশুম শহর গ্রামের বিশিষ্ট্য আলু ব্যবসায়ী ও বড়াইল ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, বড়াইল,আলমপুর ও তুলশীগঙ্গা ইউনিয়নের কিছু কিছু রাস্তা এত’ই সরু যেকোনো মালামাল বোঝাঁয় ট্রাক রাস্তা পারাপার বা ক্রসিং করা একে বারেই সম্ভব হয়না। কোনো কোন এলাকায় রাস্তা সরুর কারণে ওইসব এলাকয় মালামাল কিনাকাটা করতে পাইকার’রা যেতে চায়না। সে কারণে ওই সব এলাকর কৃষকদের পণ্য বাজার থেকে কোম মূল্যে বেচাকিনা করতে হয়। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মণ্ডল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা প্রশস্ত করণের জন্য সমন্বয় সভা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। এবং মাননীয় হুইপ মহোদয় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ওইসব রাস্তা প্রশস্তকরণ বিষয়ে চেষ্টা করছেন। আশাকরি পর্যায় ক্রমে এসব সমস্যা সমাধান হবে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please