আজ [bangla_date], [english_date]

কর্মস্থলে ফেরাতে এগিয়ে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় করোনা ভাইরাসের  প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ।  বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সব  অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে সংকটে পড়ে বাংলাদেশিরা। বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে আটকা পড়ে যান অনেক বাংলাদেশি। এমনকি দেশে বেড়াতে এসেও আটকা পড়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। এতে তাদের কর্মস্থলে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।  পরিস্থিতি বিবেচনায় এগিয়ে আসে দেশের রাষ্ট্রয়াত্ব বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স। এপ্রিলের মাঝামাঝি  থেকে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনায় নামে দেশের পতাকাবাহী এ উড়োজাহাজ সংস্থা।বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স শুরু করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার কাজ।বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স শুরুতে ভারত, এরপর মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপান থেকে যাত্রী নিয়ে আসে। একইসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ঢাকা থেকেও ইতালি, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেনে একাধিক চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স। করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া শিক্ষার্থী, পর্যটক এবং জরুরী প্রয়োজনে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনকি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ কর্মস্থলে ফিরিয়ে দিতে সহায়তার হাত বাড়ায় বিমান।এমন একজন প্রবাসী শিউলি আক্তার, যিনি একযুগের বেশি সময় ধরে ইউরোপের দেশ স্পেনে বসবাস করছেন। তিনি অসুস্থ বাবাকে দেখতে এসে করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশে আটকা পড়ে যান। দেশে করোনার কারনে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিনি। স্পেনে তখন করোনার ভয়াবহ সংক্রামণ দেখা দেওয়ায় স্বামী এবং দুই সন্তান রেখে আসা এই প্রবাসী পরিবার নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় পড়ে যান। পরে দেশে এসে আটকে পড়া এমন প্রবাসীদের ফেরাতে স্পেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দেশ থেকে অনেক প্রবাসীকে নিজ কর্মস্থলে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করছে বিমান। দুর্যোগকালীন এই সময়ে নিজ কর্মস্থল এবং দেশে ফিরতে পেরে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন এসব বাংলাদেশিরা। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে চাওয়া প্রবাসীদের এই বিশেষ বিমানে ভাড়া অতিরিক্ত বলে অভিযোগ করছেন। ইতিমধ্যে দেশটির রাজধানী শহর রিয়াদ ও জেদ্দা থেকে বিশেষ দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স।এদিকে গত তিন মাসে যাত্রীবাহী ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করে ২৩৪ কোটি টাকা আয় করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যদিও এক মাসেই বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ২৬৬ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যক্তিরা মনে করছেন চলতি জুলাই মাসে এ আয় বাড়তে পারে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page