আজ [bangla_date], [english_date]

এবার দুধের দাম বাড়ালো মিল্ক ভিটা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্ক ভিটা দুধসহ দুগ্ধজাত সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার দুধের দাম ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মইনুল হক চৌধুরী বলেন, দুধের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দুগ্ধজাত নানা পণ্যের দাম। প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম হয়েছে ১ হাজার ৩২০ টাকা। এতদিন এর দাম ছিল ১ হাজার ১৮০ টাকা। এক কেজি মিষ্টি দইয়ের দাম হয়েছে ২১০ টাকা, আগে বিক্রি হতো ১৯০ টাকায়। এক কেজি টক দইয়ের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭৫ টাকা। এ ছাড়া গো-খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহ খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত বুধবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস থেকে এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধে ৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। আগে যা ৭৫ টাকা ছিল। এ ছাড়া আধা লিটারের প্যাকেট ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। ২৫০ মিলি প্যাকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা; যা এতদিন বিক্রি হয়েছে ২২ টাকায়। তবে ২০০ মিলিলিটারের প্যাকেটের দাম ২০ টাকাই আছে বলে জানিয়েছেন মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. মইনুল হক চৌধুরী। মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষের দাবি, প্যাকেজিং সামগ্রী, গোখাদ্যসহ সহায়ক সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা দাম বাড়িয়েছে দুধ ও দুগ্ধজাত অন্যান্য পণ্যের।

পাস্তুরিত তরল দুধ, টোল্ড মিল্ক, ফ্লেভার্ড মিল্ক, ঘি, মাখন, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ, ননিবিহীন গুঁড়া দুধ, মিষ্টি দই, টক দই, রসগোল্লা, সন্দেশ, চিজ, কেকসহ ২২ ধরনের পণ্য বাজারজাত করে মিল্ক ভিটা। প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়ানো হয়েছে। মইনুল হক চৌধুরীর আরও জানান, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে গোখাদ্যের দাম। লিটারে প্যাকেটের মূল্য আগে ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা। এখন হয়েছে ৪ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষেত্রেও খামারিদের ২৫ শতাংশ খরচ বাড়ানো হয়েছিল। পণ্যের দাম বাড়ায় আগামী ১ জুলাই থেকে খামারিদের কাছে থেকে লিটারপ্রতি দুধ দুই টাকা বেশিতে কিনবে মিল্ক ভিটা। গত ১৩ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে মিল্ক ভিটার পণ্যের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২০ সাল থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে কাক্সিক্ষত মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবছরে সংস্থাটি মাত্র ১৩ লাখ টাকা লাভ করেছে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page