আজ [bangla_date], [english_date]

উরুগুয়েকে চেপে ধরতে চায় ঘানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :  জিতলেই পর্তুগালের সাথে গ্রুপ-এইচ থেকে  কাতার বিশ্বকাপের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে, এমন সমীকরন সামনে রেখে কাল উরুগুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে ঘানা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ব্ল্যাক স্টার্সরা বর্তমানে তলানিতে থাকা উরুগুয়র থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে ও ঘানার দুর্দান্ত এক লড়াই দেখেছিল পুরো ফুটবল বিশ্ব। ১২০ মিনিটের ম্যাচে ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে ঘানাকে পরাজিত করে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্ত ম্যাচের একেবারে শেষ সেকেন্ডে লাল কার্ড পেয়ে লুইস সুয়ারেজ ম্যাচটিতে বিতর্কিত করে তুলেছিলেন। ঐ ঘটনায় প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে আসামোয়া গায়ান গোল করতে ব্যর্থ হলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাই ব্রেকারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উরুগুয়ে জয়ী হয়ে ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। সে কারনে উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেবারও একটি সুযোগ এসেছে ঘানার সামনে।

ঘানার সামনে এখন সুযোগ উরুগুয়েকে ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দেয়া। প্রথম দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করে ঘানার কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালেল বিপক্ষে ৩-২ গোলে পরাজিত হবার পর দক্ষিণ কোরিয়াকে পরের ম্যাচে একই ব্যবধানে পরাজিত করেছে আফ্রিকান দলটি। কাল জয়ী হতে পারলে ওটো আদোর দলের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে। তবে ড্র করলে কিছুটা অপেক্ষায় থাকতে হবে। যদি পর্তুগালকে দক্ষিণ কোরিয়া হারিয়ে দেয় তবে গ্রুপের দ্বিতীয় দল নির্ধারনে গোল ব্যবধানের উপর নির্ভর করতে হবে। ঘানা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানে। ২০১০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পর এই প্রথম তাদের সামনে নক আউট পর্বে খেলার সুবর্ন সুযোগ এসেছে। ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়া দলটি চার বছর  আগে বিশ্বকাপে খেলারই টিকিট ঘানা।

এবারের আসরে উরুগুয়ে কোনদিক থেকেই নিজেদের প্রমান করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে এশিয়ান জায়ান্ট দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে গোলশুন্য ড্র কারর পর পর্তুগালের কাছে পরের ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায়ের ক্ষন গুনছে। কাল ড্র করলেও দিয়েগো আলোনসোর দলের বিদায় নিশ্চিত হবে। তিন পয়েন্ট পেলে পরের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া যদি পর্তুগালকে না হারায় তবে উরুগুয়ের সামনে ক্ষীণ একটি সম্ভাবনা থাকবে। ১৯৩০ ও ১৯৫০ সালে বিশ^কাপ জয়ী উরুগুয়ে এর আগের তিনটি বিশ্বকাপে যোগ্যতর দল হিসেবেই নক আউট পর্বে খেলেছে। ২০১০ সালে চতুর্থ স্থান পাওয়া দলটি পরের আসরে শেষ ষোল ও রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। এ ছাড়া ২০০২ সালের পর থেকে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়নি।

ঘানা দলে কোন ইনজুরির খবর নেই, সে কারনে উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ী দলটির উপরই ভরসা রাখতে চাইছেন আদো। মোহাম্মদ কুদুস আগের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন। ইতোমধ্যেই টুর্ণামেন্টে তার পারফরমেন্সে বার্সেলোনা ও লিভারপুলের মত দল বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। ঘানার আক্রমনভাগে আরো একবার ইনাকি উইলিয়ামস নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। তার সাথে আরো থাকবেন জর্ডান আইয়ু ও আন্দ্রে আইয়ু। মধ্যমাঠে সালিস আব্দুল সামেদের সাথে নিশ্চিতভাবেই যোগ দিতে যাচ্ছেন থমাস পার্টি।

এদিকে এবারের আসরে দলের দুই তারকা সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানিকে নিয়ে মোটেই খুশী হতে পারেনি উরুগুয়ে। সে কারনে এই দুজনকে শেষ ম্যাচে একসাথে বদলী বেঞ্চে দেখা গেলে অবাক হবার মত কিছু থাকবে না। ডারউইন নুনেজের সাথে আক্রমনভাগে থাকতে পারেন ম্যাক্সি গোমেজ। পর্তুগালের সাথে বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে তিনি ভাল কলেছেন। ফেডেরিকো ভালভার্দে, রডরিগো বেনটানকার ও হোসে জিমিনেজ তদের পজিশন ধরে রাখবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। টুর্ণামেন্টের শুরু থেকেই রোনাল্ড আরাউজোর ফিটনেস নিয়ে আলোচনা চলছিল। বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডারকে হয়তো কোন ম্যাচ না খেলেই এবার বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page