আজ [bangla_date], [english_date]

উপসর্গ ছাড়াই ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসকসহ তিনজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে তার মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত চিকিৎসক। এই চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালের বাইরে উপজেলা সদরের বেসকাররি সেন্ট্রাল হসপিটালেও চেম্বার করতেন। আক্রান্ত অপর ব্যক্তিরা হলেন- সেন্ট্রাল হসপিটালের একজন নারী স্টাফ; তার বাড়ি উপজেলার দুলালপুর কাশিপুর গ্রামে এবং বাবরকান্দি গ্রামের ৩৫ বছর বয়েসী আরেক নারী। এ নিয়ে হোমনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এগারো জনে।
সন্ধ্যায় সেখানে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা হ্যান্ডমাইকে সেন্ট্রাল হসপিটাল বিল্ডিং ও এর সংসগ্ন চারটি ফার্মেসিকে লকডাউন ঘোষণা করে। পরে হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোর সাটারে ‘লকডাউন’ স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কায়েস আকন্দ। বাবরকান্দি গ্রামের করোনা আক্রান্ত নারী জানিয়েছেন, গত ১১ মে তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেছেন। পরে সদরের আল রশিদ প্লাজা এবং শিলামনি মার্কেটে শপিং করতে গিয়েছিলেন। কীভাবে সংক্রমিত হলেন জানতে চাইলে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক জানান, ‘আমি ইউএইচপিও স্যারের মাধ্যমেই জানতে পারলাম যে আমি করোনা পজেটিভ। তবে আমার মধ্যে সাধারণ কোনো উপসর্গ কিন্তু নেই। এ সময়ের মধ্যে আমি সরকারি হাসপাতালেও ডিউটি করেছি। আসলে গত এক সপ্তাহ কিছু অপ্রত্যাশিত ভাইরাসজনিত আক্রান্ত রোগী দেখেছি। যাদের আমার সন্দেহ হয়েছে। অনেককেই করোনা টেস্ট করতে বলেছি। এদের কেউ কেউ করেছেন; আবার অনেকেই ভয়ে চলে গেছেন। আমি কোথা থেকে কীভাবে আক্রান্ত হলাম সেটা তো বলা মুশকিল।’ এখন থেকে সবাইকেই করোনা রোগী সন্দেহ করে নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ‘গত ২৭ তারিখ ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে পাওয়া রিপোর্টগুলোর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও বেসরকারি সেন্ট্রাল হসপিটালের একজন আয়াসহ তিন জনের করোনা পজেটিভ এবং বাকীদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। পজেটিভ রোগীদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, ‘আজ হোমনা উপজেলায় ৩ জন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় তাদের আবাসস্থল লকডাউন করা হয়েছে। হোমনা সেন্ট্রাল হসপিটালে কর্মরত আয়া তাসলিমা বেগমের বাড়ি কাশিপুর হলেও আবাসস্থল হসপিটালে হওয়ায় তাই পুনরায় এই হসপিটালের সকলকে করোনা টেস্ট করার নির্দেশনা দিয়ে হসপিটাল বিল্ডিংসহ তৎসংলগ্ন চারটি ফার্মেসিও একইসাথে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বাবরকান্দি গ্রামের আক্রান্ত সেলিনা বেগমের সাথে কথোপকথনে জানা গেছে, তিনি গত ১১ মে তার মেয়ের অসুস্থতাজনিত কারণে হোমনা উপজেলায় আসেন এবং চিকিৎসাগ্রহণ শেষে হোমনার দুটি শপিংমলে শপিং করেন। এরপর ঈদের তিন দিন পূর্বে তিনি অসুস্থ হন। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের করোনা টেস্ট করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please