আজ [bangla_date], [english_date]

আশার বানী শোনালেন কৃষিমন্ত্রী

বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। শিগগিরই পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ফিনল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই এবং ফিনপার্টনারশিপের যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের চাহিদার ৬০-৭০ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন করি। বাকিটা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গত বছর আমাদের দেশে পেঁয়াজ ভালো হয়েছিল। কিন্তু আগাম বৃষ্টির কারণে কৃষকরা সেই পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারেননি। যে কারণে সংকট হয়েছে। তবু আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে পারতাম। হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করবে সেটি আমরা চিন্তাও করিনি। ভারতের পেঁয়াজ না আসার কারণেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করছে সরকার।তিনি আরও বলেন, নতুন পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, চাষিরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পান; এজন্য দেশে পেঁয়াজের মৌসুমে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফিনল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের এদেশে সরাসরি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বাস্থ্য, নবায়নযোগ্য এনার্জি, টেকসই বনায়ন ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ এবং যৌথ অংশীদারিত্বের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে ফিনল্যান্ড। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশের স্থিতিশীল ম্যাক্রো-ইকোনমিক প্রবৃদ্ধিসহ গত কয়েক দশকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রফতানির পরিমাণ ৩ কোটি ৯৫ লাখ এবং আমদানির পরিমাণ ২০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক তিত্তা মায়া এবং এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রেজনু, সহ-সভাপতি নিজামুদ্দিন রাজেশ, সংগঠনের পরিচালকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     More News Of This Category

follow us on facebook page