নিজস্ব প্রতিনিধি : র্যাবের কাছে প্রকৌশলী ও চিকিৎসক দম্পতিসহ আরও ৯ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে আজ । ‘নব দিগন্তে প্রত্যাবর্তন’ এই স্লোগান সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার র্যাব সদর দপ্তরের আজাদ মেমোরিয়াল হলে এই আত্মসমপর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন একাডেমিশিয়ান, ইসলামী স্কলার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্ট নাগরিকেরা। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ উপস্থিত থাকবেন। র্যাব সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে স্বামী প্রকৌশলী, স্ত্রী চিকিৎসক। এই দম্পতির রয়েছে ফুটফুটে দুটি সন্তান। সুখের সংসার তছনছ করে দেয় জঙ্গিবাদের ঝড়। অনিশ্চয়তার কালো মেঘ গ্রাস করে পুরো পরিবারকে। আশার কথা হল হারিয়ে যাওয়ার আগেই এই অন্ধকার সুড়ঙ্গে আলো ফেলেছে র্যাব। সংস্থাটির নতুন উদ্যোগ ডি- রেডিক্যালাইজশেন প্রক্রিয়ার আওতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে পরিবারটি। দীর্ঘ সময় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের মাথা থেকে উগ্রবাদ ঝেড়ে ফেলা হয়েছে। এই পরিবারসহ মোট ৯ জঙ্গি র্যাবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদলে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ডিরেডিক্যালাইজেশন ইউনিট শুরুর উদ্যোগ নেয় র্যাব। বিশেষায়িত এই ইউনিট উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় প্রথমধাপে ৯ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। এর আগে পাইলাট প্রজেক্টের আওতায় সাত জঙ্গিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন হিজরত করে ঘর ছাড়ার পর র্যাবের পাইলট প্রজেক্টের আওতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার নজির রয়েছে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওই ব্যক্তি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেবেন। তবে ৯ জঙ্গির মধ্যে একজনের নামে মামলা থাকায় আত্মসর্পণের পর তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। র্যাব জানায়, আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া জঙ্গিদের পুনবার্সনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য প্রত্যেকের জন্য তাদের জন্য সঠিক পেশায় ফিরতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া এক তরুণী পড়তে বিদেশে যান। কিন্তু তিনি জঙ্গি দলে ভিড়ে দেশে ফেরৎ এসেছেন সেটি তার পরিবার জানতেন না। এখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর তার পড়ালেখা শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এভাবে কাউকে কৃষি কাজের জন্য গরু, কাউকে আবার পাওয়ার ট্রিলার মেশিন কিনে দেওয়া হচ্ছে।