আজ [bangla_date], [english_date]

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  নাবিলা ফুড প্রডাক্টসের নামের একটি ভূয়া কোম্পানির ডিলারশিপ ও চাকরির প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. কবির হোসেন ওরফে জোবায়ের ওরফে আক্তার হোসেন ওরফে আশরাফুল ওরফে রাসেল, মো. মামুন হোসেন ওরফে বেলাল ওরফে কামরুল, আবু হাসান ওরফে জামিল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল রাব্বী ওরফে রেদওয়ান।

তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কর্মী ও ডিলারশিপ নিয়োগের জন্য ভিকটিমদের নাম ও ছবি সম্বলিত আবেদনপত্র, কর্মী নিয়োগের ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত, আসামিদের বিভিন্ন পরিচয় সম্বলিত ভিজিটিং কার্ড, কোম্পানির ভুয়া পণ্যের মূল্য তালিকা, ৪টি মোবাইল ফোন, পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কপি, কোম্পানির পণ্যের নমুনা, একটি ল্যাপটপ, সিল-প্যাড ও প্যাকেট সিলিং মেশিন উদ্ধার করা হয়। আসামীরা কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে একই কৌশল ব্যবহার করে ডিলারশিপ ও কর্মী নিয়োগের নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে ডিবি কম্পাউন্ডে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০২২ সালের ১৮ মার্চ মামলার বাদি ফেসবুকে একটি পেইজে ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় নাবিলা ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ডিলার এবং কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখতে পান। বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে ফোন করে মামলার বাদি আসামিদের সঙ্গে কোম্পানীর ডিলারশিপ নিয়ে কথা বলেন।  আসামীরা মামলার বাদিকে তাদের অফিসে এনে তেল, চিনি, আটা, ময়দা, ডাল, চা, চিনিগুড়া চাল, হলুদ ও মরিচসহ ৩০টির বেশি ভুয়া পণ্য দেখিয়ে বাদীর বিশ্বাস অর্জন করে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে মামলার বাদি ডিলারশিপের চুক্তি অনুযায়ি নোয়াখালী অঞ্চলে ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য সরল বিশ্বাসে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা জমা দেন। একই ভাবে দুলাল আহম্মেদ লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা অঞ্চলে ডিলারশিপের জন্য ১০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, মহিনি চন্দ্র রায় ঠাকুরগাও অঞ্চলের ডিলারশিপের জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আ. আওয়াল রংপুর, সাভার ও পাবনা অঞ্চলের ডিলারশিপের জন্য ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জমা করেন। টাকা পাঠানোর পর দিন থেকেই আসামিরা বাদি ও অন্যান্য ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ভুক্তভোগীরা আসামিদের খোঁজে নাবিলা ফুড প্রডাক্টসের অফিসে গেলে দেখতে পান, সেখানে তাদের আর কোন অফিস নেই। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page