রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়া হতে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে এক গৃহকর্তাসহ তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক রাজু। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,শুক্রবার (১৫ মে) রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে লোহমর্ষক এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে নিহতের পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে থাকায় হত্যাকান্ড নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গৃহকর্তা হাফিজুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি টের পেয়ে এলাকার লোকজন পুলিশে জানান। এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহকর্তা হাফিজুল ইসলাম (৩২), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৪) ও আড়াই বছরের শিশুকন্যা হোমায়রার মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতের স্ত্রী ও শিশুকন্যার গলায় ছুরিকাঘাতের চিন্থ আছে। ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক রাজু বলেন, নিহত হাফিজুল ইসলাম (৩২) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ছিলেন। সেখানে একটা চাকরি করতেন। করোনার কারণে ঢাকা থেকে সে গ্রামে চলে আসেন। তার পারিবারে বেশ কিছু ধরে কহল চলছিল বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে। তবে এই ঘটনার পর থেকে নিহতের বাবা লালো মিয়াসহ বাড়ির অন্য সবাই পালিয়ে আছেন বলেও তিনি জানান। এব্যাপারে জানতে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকারের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।