নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুমন ফার্মেসীর বিরুদ্ধে মেয়াদ উর্ত্তীন ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে।এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবার শিমলা বাজারস্থ আমতলা প্রধান সড়কের একটি ফার্মাসিষ্টের দোকানে ইনজেকশনটি মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ায় ইনজেকশনটি পুশ করতে অনীহা প্রকাশ করায় এ বিষয়টি চারদিকে ছডিয়ে পড়ে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহলের মাঝে নানা চাপা ক্ষোভ সহ সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভুক্তভোগী পরিবার শিখা আক্তার ও সুমন ফার্মেসী সুত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী পৌর সভার শিমলা বাজারস্থ এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রেতা ও ব্যাবস্থাপক প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) সুমন ফার্মেসীর থেকে গত ৪ঠা ফ্রেব্রুয়ারী পৌর সভার নাছের উদ্দিন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে প্রধান সড়কের পার্শ্বে বসবাসকারী রিহান আলীর স্ত্রী শিখা আক্তার (৩৬) এর জন্য ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনষ্টিটিউট এ্যান্ড হাসপাতাল এর চিকিৎসকের ব্যাবস্থাপত্রানুযায়ী ৪টি মেকোলাজিন এমজি ১এমএল আইভি/আইএম ২১০০২ ইনজেকশন কিনতে যান। এ সময় সুমন ফার্মেসী থেকে রিহান আলীর স্ত্রী শিখা আক্তার ৩ টি ইনজেকশন ক্রয় করে এর মধ্যে একটি ইনজেকশন সুমন ফার্মেসী থেকে পুশ করে ২টি ইনজেকশন বাসায় নিয়ে আসেন। শিখা আক্তার ইনজেকশন পুশ করার পর থেকে অসুস্থতায় ভুগছে।
আবার ও ওই ইনজেকশন দেহে পুশ করার জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শিমলা বাজারস্থ আমতলা প্রধান সড়কের একটি ফার্মেসীতে নিয়ে গেলে ফার্মাসিষ্ট ইনজেকশনটির তৌরীর তারিখ ফেব্রয়ারী ২১ এবং জানুয়ারী /২৩ মেয়াদ উর্ত্তীন ইনজেকশন বলে নজরে আসলে পুশ করতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরে আবারও পরীক্ষামুলকভাবে ২টি ইনজেকশন কিনতে গেলে পুনরায় মেয়াদউত্তীর্ন ইনজেকশন বিক্রি করেন সুমন ফার্মেসী। পরে এ নিয়ে উত্তীর্ন ইনজেকশনের বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেন ভুক্তভোগী শিখা আক্তার ও তার পরিবার। এ নিয়ে রোগীর পরিবারের মধ্যে ও কতিপয় স্থানীয় সচেতন মহলদের নিয়ে এক সমঝোতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় রোগীর পরিবার ও স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রেতা ও ব্যাবস্থাপক প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায়(সুমন) সুমন ফার্মেসীর বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তীমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ছাড়াও সুমন ফার্মেসীর বিরুদ্ধে চিকিৎসকের ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই নারকোটিক ঘুমের ঔষধ বিক্রির অভিযোগ সহ একটি ড্রাগ লাইসেন্সে ৩টি ফার্মেসি পরিচালনা করছেন যা আইনগত বৈধতা নেই। ভুক্তভোগী শিখা আক্তার জানান, সুমন ফার্মেসীর প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন)এর ফার্মেসী থেকে ৫টি ইনজেকশন ক্রয় করে একটি ইনজেকশন পুশ করায় আমার ডান হাতের মাংসপেশীতে জখম ও ব্যাথা অনুভুত ও শরীরে নানা উপস্বর্গ দেখা দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেয়াদ উত্তীর্ন এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রেতা ও ব্যবস্থাপক প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন)এর কাছে জানতে চাইলে সুমন ফার্মেসীর প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) মেয়াদ উত্তীর্ন ইনজেকশন বিক্রির বিষয়টি তার প্রাথমিক ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন এবং ঘটনার জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিসিডিএস এর সভাপতি রবিউল কবীর উজ্জল জানান, সুমন ফার্মেসীর প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) যে মেয়াদ উত্তীর্ন ইনজেকশন বিক্রি করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। এটি আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ।