খুলনা প্রতিনিধি : জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা এলাকার একটি মসজিদেও পুকুর খননের জন্য এলজিইডি ( স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) প্রায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই কাজটি বাস্তবায়ন করছে গুটুদিয়া গ্রামের জনৈক হাফিজুর রহমান। তিনি পুকুর খননের মাটি বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে বওে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে বুধবার সেখানে গিে দেখা যায় একটি স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর চালিত ক্যারেজ লাগানো লড়িতে স্কেভেটর দিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে। ওই মাটি শাহপুর , থুকড়া, রুপরামপুর, রংপুর ঘোনা, শলুয়া, মধুগ্রাম , আন্দুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাক প্রতি ১ হাজার টাকা থেকে ১২ শত টাকায় বিক্রি করছে। এ বিষয়ে মাটি ক্রেতা কযেকব্যক্তির সাথে আলাপকালে জানা যায় গত বছর আমভিটা জামে মসজিদের অনুকূলে বরাদ্দ নেয়া জমির পুকুর খনন করতে এলাজিইডি অর্থ বরাদ্দ দেয়। সে অনুযায়ি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার খনন কাজ শুরু করে। ঠিকাদার ও মসজিদ কমিটির কযেকজন গোপনে মাটি বিক্রি করতে থাকে। তারা এ র্সক্রান্ত কোন সভায় সিদ।ন্ত নেয়নি যে খননকৃত বিক্রি করতে হবে। সরকারী টাকার প্রকল্পের মাটি বিক্রি করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো: হান্নান গাজী জানান পুকুর খনন করা মাটি রাখার জায়গা না থাকায় আশপাশের মানুষেরা নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হচ্ছে না। কাজ তদারককারী মো: হাফিজুর রহমান টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন মাটি বিক্রির জন্য কোন টাকা নেয়া হচ্ছে না। কিন্তু মাটি পরিবহনের জন্য জ্বালানী খরচ বাবদ অল্প কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুত কুমার দাশ জানান, সরকারী টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটি ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট মসজিদের কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিচালিত হবে।