নিজেস্ব প্রতিনিধি : দেশে করোনা মহামারীতে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে যা বেশিরভাগই অজানা থেকে যায় মানুষের কাছে। চক্ষুলজ্জায় অনেকেই পারেনা কারো কাছে হাত পাততে। চলতি মহামারি করোনায় অনেক কর্মজীবিতেও ভিখারীতে পরিণত করেছে। “ঋণগ্রস্ত পৃথিবীতে করেছি ক্ষুধা ঋণ, তাই বুঝি তার মাত্রা বাড়ে দিন দিন। কবিতার ছন্দের মতো বর্তমান যুগে এসেও মানুষ এতটা অসহায় সেটা নিজের চোখে না দেখলে অনেকেই উপলব্ধি করতে পারবেনা। ছবির মানুষটির নাম মোঃমানিক হোসেন। মনোহরগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তরগত ৯ নং উত্তর হাওলা ইউনিয়নের উত্তর ফেনুয়া এলাকা। দারিদ্র্যতার কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? সব গুলো সংজ্ঞা যেন এই মানুষটির জীবন চরিত্রে খোঁজে পাওয়া যাবে। যে ছোট্ট কুটির টি দেখা যাচ্ছে সেটা নাম মাত্র একটি ঘর। উপরের চালা গুলো খড়ের গাঁদার চাউনি মাত্র। গভীর রজনীতে ঘুমে আচ্ছন্ন মানুষটির বৃষ্টির পানির সাক্ষাৎ পেয়ে ঘুম ভাঙ্গে এবং কুঁড়ে ঘরে কাক ভেজা হয়ে আঁধভেজা কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপন ললাটের উপর ছেড়ে দিয়ে কাটিয়ে দেয় রাত। মাঝে মাঝে তুফান সাইক্লোনের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার ঘরের মাঝেই। এইবারে বর্ষায় হয়তো বন্যার জলে ডুবে যাওয়ার সম্ভবনা আছে বিলের মধ্যে থাকা এই ছোট্ট একচালা ঘরটি। দারিদ্রতার কারনে চাকরী’র সুবাদে তার স্ত্রী, তিন মেয়ে এক ছেলে ঢাকায় থাকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে তারাও চাকরিহারা কারন মুষ্টিময় র্গামেন্টস্ ফ্যাক্টরি খোলা বাকি গুলো বন্ধের পথে। বর্তমানে নিজের অস্থিত টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে তারা। করোনাভাইরাস উপলক্ষ্যে একজন দরিদ্র নাগরিক হিসাবে এক পুটলি “ত্রাণ” তার ভাগ্যে জুটে নাই আর না জুটেছে সরকারের দেওয়া ২৫০০ টাকার লিষ্টে তার নাম। বাড়ি গাড়ির মালিকেরা ন্যায্য মূল্যের চাউলের কার্ড পেলেও তার কপালে জোটে নাই একখানা ন্যায্য মূল্যের চাউলের কার্ড। দারিদ্রতা কি তা বোঝাতেই হয়তো অনেকে কাব্যিক ভাষায় বলেছেন “দরিদ্রতা ইদানিং তুমি এক পণ্য তোমার অতি ব্যাবহারে অনেকেই ধন্য” সেরকমই দারিদ্র্যতার মাঝেও বাধ সাধে চক্ষুলজ্জা। তাই না খেয়ে থাকলেও লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারছে না। বর্তমানে তার কিছু খাদ্য, বসতিঘরটির সামান্য মেরামত ,টয়লেট,টিউবওয়েল অতীব প্রয়োজন বলে জানান তার আশেপাশের মানুষেরা।