নিজেস্ব প্রতিবেদক : দলীয় মনোনয়র প্রাপ্ত সাবেক কাউন্সিলর নান্নু ও তার ভাই কচি আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জুয়েল রানা। জয়েল বলেন গত ২২ জানুয়ারী বেলা এগারোটার দিকে আমার এলাকার মা বোনদের নিয়ে মিল্লাত ক্যাম্পে নির্বাচনী প্রচারে যায়। শান্তি পূর্ণভাবে আমি ভোট চাইতেছিলাম হঠাৎ করে আমাদের প্রতিপক্ষ যার ঠেলা গাড়ী মার্কার নান্নু ও তার ভাই লোকজন দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। গত নির্বাচনে নান্নু ও তার ভাই আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে নির্বাচন করতে দেয়নি যার স্বাক্ষী এই বাউনিয়ার হাজার হাজার মানুষ। জুয়েলের পক্ষে তার সমর্থকরা বলেন গত নির্বাচনে নান্নু ও তার ভাই কচি জুয়েল ভাইকে অস্ত্র ঠেকিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে চেয়েছিল যখন জুয়েল ভাই নির্বাচন থেকে সরে নাই তখন নান্নু ও তার ভাই কচি হাতে পায়ে ধরে একবার সুযোগ চেয়েছিল এবং এই নির্বাচনে জুয়েল ভাইয়ের পক্ষে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। জুয়েল আরো বলেন আজকের এই হামলায় আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল আমার মা বোনেরা আমাকে সেইফ করেছে আমার কিছু কর্মী আহত হয়েছে তারা মেডিকেল গেছে। আমার এলাকার কিছু নেতাকর্মীর ইন্ধনও রয়েছে এই হামলায়। কয়েক দিন আগে আমার এলাকায় শান্ত নামের একটি ছেলে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছে সেখানে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এবার আমাকে যত হুমকি দিক আমি নির্বাচন থেকে সরবো না। এস এ মান্নান কচি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর থেকেই এই এলাকায় অত্যাচার বেড়ে গেছে। এ সময় জুয়েলের সমর্থকরা ‘‘জুয়েলের উপর হামলা কেন এই নান্নু জবাব দে, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও শ্লোগান দিতে থাকে। জুয়েল আরো বলেন আমরা কোন গন্ডগোল করবো না বা চাইও না। আমরা ভোটের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসী নান্নু ও তার ভাই কচিকে আমরা জবাব দেবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন সন্ত্রাসী নান্নু বা তার ভাই কচির সন্ত্রাসী দ্বারা যেন আল্লাহ আমার মৃত্যু বরণ না করায়।
এবিষয়ে ওই ওয়ার্ডের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু বলেন, কয়দিন আগে জুয়েলের বাহিনী শান্তকে হত্যার চেষ্টা করেছে, শান্ত যেন চিকিৎসা না পায় সেই চেষ্টা করেছে আজও মামলা হলো না কেন আপনারা দেখেন খোঁজ নেন। আব্দর রউফ নান্নুর পক্ষে তার সমর্থকরা বলেন এটা আয়নার মতো পরিষ্কার যে এস এ মান্নান কচিকে জড়ানো হচ্ছে তিনি সারাদিন মেয়র আতিকের সাথে থাকেন। আর যে ছেলেকে আহতের ইস্যু করছে সেই ছেলে কি ঘটনা স্থলে ছিল? আর সেই ছেলে এলাকায় ডাকু রমজান ও চোরা রমজান নামে পরিচিত। আরো বলেন জুয়েলের অফিসের সামনের একটা ভিডিও ফুটেজ আমরা পেয়েছি যেখানে দেখা যায় জুয়েলের লোকজন সেই ডাকু রমজানের গলায় নির্বাচনী কার্ড পরিয়ে দিচ্ছে। আমাদের নান্নু ভাইয়ের নামে মিথ্যা বদনাম ছড়াচ্ছে।