8th, December, 2023, 11:48 am

ষড়যন্ত্রের শিকার আওয়ামী পরিবারের সন্তান শাহেদ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সত্য-মিথ্যার মিশেল দিয়ে,তিলকে তাল বানিয়ে লুটেরা,দস্যুতার কালিমা গায়ে লাগিয়ে পুরো দেশবাসীর কাছে একজন খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হলো রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদকে। সংবাদের সত্যাসত্য যাচাই-বাছাই না করে গণমাধ্যকর্মীরাও প্রেসিব্রিফিং এর বরাত দিয়ে ফলাও করে শাহেদের বিরুদ্ধে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলেন। প্রকাশিত সংবাদে বলা হলো,লেখা হলো শাহেদ করোনা রোগীদের টেস্ট করার ভ‚য়া রিপোর্ট দিয়েছে। কেউ জানতে চাইলো না,করোনা েেটষ্টের ভ‚য়া রিপোর্ট পেয়েছে এমন কোন ব্যাক্তি এ নিয়ে থানায় কোন অভিযোগ করেছেন কি না,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ অভিযোগ করেছেন কি না বা কোন সাংবাদিকের কাছে কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন কি না? এমন কোন অভিযোগ কেউ করেনি। দ্বিতীয়ত- হাসপাতালগুলো শুধু রোগীর স্যাম্পল গ্রহন করে তা পাঠিয়ে দিতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। রোগীদের কাছে মোবাইল মেসেজের মাধ্য করোনা পরীক্ষার ফলাফল পৌছে দিতো নিপসম। যদি ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দিতে হয় তাহলে তো রোগীর কাছে মেসেজ যেতে হবে শাহেদের মোবাইল থেকে বা রিজেন্ট হাসপাতালের কারো মোবাইল থেকে। এমন কোন অভিযোগ তো পাওয়া যায়নি,শাহেদের বা রিজেন্ট হাসপাতালের কারো মোবাইল থেকে রোগীর কাছে টেস্ট রিপোর্ট গিয়েছে।

ব্যাপকভাবে প্রচার করা হলো শাহদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে  কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। শেষে প্রমান মিললো, শাহেদ কোন টাকাই নেয়নি। শাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা কভিড মামলার চার্জশীট বিশ্লেষন করলে দেখা যায়,প্রদত্ত চার্জশীটে উলে­খ করা হয় শাহেদ দশ জন রোগীকে করোনার ভ‚য়া টেস্ট রিপোর্ট দিয়েছে। বাস্তবতা হলো চার্জশীটে উলে­খ করা দশজন রোগীর টেস্ট রিপোর্ট এসেছে নিপসন থেকে এবং এখনো ওই দশজন রোগীর টেস্ট রিপোর্ট সরকারী দপ্তর নিপসনের ওয়েব সাইটে দেখা যাচ্ছে। এতে প্রমানিত হয় শাহেদ কোন ভ‚য়া রিপোর্ট দেয়নি। শাহেদকে গ্রেপ্তারের সময়ে বলা হয়েছিলো,শাহেদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। দেশবাসীর সমানে তাকে একজন লুটেরা হিসেবে তুলে ধরা হলো এমনকি এ ঘটনা উলে­খ করে শাহেদকে কোন কোন পত্রিকা ও টিভি প্রতারক হিসেবেও আখ্যায়িত করলেন।

অথচ কভিড মামলায় শাহেদের বিরুদ্ধে যে চার্জশীলট আদালতে দাখিল করা হয়েছে ওই চার্জশীটে বলা হয়েছে শাহেদ করোনা চিকিৎসাবাদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকো কোন টাকা গ্রহন করেননি। তা হলে কেন তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার? কেন দিনের পর দিন কারাগারে কাটাতে হচ্ছে শাহেদকে। কেন তার অবুঝ সন্তানদের শুনতে হচ্ছে তার বাবা একজন প্রতারক। আওয়ামী পরিবারের সন্তান বলে শাহেদ জাতীয় সেই মহাদুর্যোগের সময়ে  প্রথম তার হাসপাতালে করোনা রোগীদের আশ্রয় দেন। সরকারের সাথে প্রথম চুক্তি করেন। এর খেসারতও দিতে হয়েছে শাহেদকে। করোনার প্রথম দিকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারাযান শাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের এক কর্মকর্তা। শাহেদ নিজেও আক্রান্ত হন করোনায়। কোন কোন গণমাধ্যম সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শুধু মাত্র প্রেসব্রিফি এর ওপর নির্ভর করে একটি সম্মানী বংশের সন্তান শাহেদকে প্রতারক পর্যন্ত লিখলেন। ১৯৯৩ সালে বিএনপির দাপটে যখন দারুনভাবে কোনঠাসা আওয়ামীলীগ।

জামায়াতের দাপটে তদস্থ সাতক্ষিরা জেলার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাতক্ষিরায় প্রকাশ্যে কেউ জয়বাংলার উচ্চারনের সাহস পায় না। দলের সেই দুর্দিনে সাতক্ষিরা  ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৯ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সাতক্ষিরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব পালন করেছেন শাহেদের মা। এই আওয়ামী পরিবারের সন্তান শাহেদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার জীবনকে অতিষ্ঠ করা হয়েছে,সামাজিকভাবে একটি ত্যাগী আওয়ামী পরিবারকে হেয় করা হয়েছে। শাহেদের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে অস্ত্রটি উদ্ধার দেখানো হয়েছে ব্যস্ততম ঢাকা শহরের একটি ব্যাস্তম সড়কে পরিত্যাক্ত পড়ে থাকা একটি নিশান গাড়ীর ছাদ থেকে। এই ঢাকা শহরের একটি মানবচলাচলের সড়কে পরিত্যাক্ত গাড়ীর ছাদে সপ্তাহের পর সপ্তাহ একটি অবৈধ অস্ত্র অক্ষত পড়ে থাকে? এটাও করা হয়েছে। করোনার সেই সময়ে দেশের একাধিক প্রভাবশালী ব্যাক্তি যারা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ন্ত্রন করেন তারা সিন্ডিকেট করেছিলেন করোনারোগী প্রতি টেস্টের জন্য সরকারের কাছ থেকে তারা ৬ হাজার করে টাকা দাবী করবেন।

সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করবেন। তাদের সে অপতৎপরতা ভুন্ডল হয়ে যায় অনেকটা হঠাৎ করে শাহেদ করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারকে হাসপাতাল দিয়ে  দেওয়ার জন্য। এ জন্য পুরো সিন্ডিকেট ক্ষেপে ওঠে শাহেদের ওপর। শাহেদের সাথে প্রধানমন্ত্রী বা দুই চারজন বিশিষ্ট ব্যাক্তির পরিচয় ও ফেসবুকে ছবি থাকলেও বাস্তবে দেশের এতবড় সিন্ডিকেট মোকাবেলা করার ক্ষমতা শাহেদের নেই। সে কারনে এখনো কারাগারে শাহেদ। পরিস্থিতি ঘুরলে ঘুরে যায় আইনও।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please