শেরপুর প্রতিনিধি : গতকাল ১৬ জুন মঙ্গলবার ভোরে শেরপুর সদর হাসপাতালে সানোয়ার হোসেন তফরদার(৫৭) নামে করোনয় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।সানোয়ার সানোয়ার বিদ্যুৎ বিভাগ(পিডিপি)ঢাকা,পল্টন বাণিজ্যিক সাধারন শাখার হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এর আগে তিনি দীর্ঘদিন শেরপুর পিডিপি কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছের।সদ্য মারা যাওয়া সানোয়ারের বাড়ী শেরপুর শহরের বাগরাকসা এলাকায় এবং তার স্ত্রীপুত্র, দুই মেয়ে,শালিকা ও ভাই করোনায় আক্রান্ত।এই হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মৃত্যু বরণ করার আগের দিন পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে শহরের বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন।আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় প্রবিবেশীরা কেউ সামান্যতম সহযোগীতার হাত বাড়ায়নি বরং পরিবারটির উপর এলাকাবাসি নানা সামাজিক নির্যাতন করেছেন।এমন অভিযোগ করে মৃতের পুত্র করোনা আক্রান্ত তানভীর হোসেন তরফদার অনিক আজ নিজের নামে থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আবেগ ঘন স্ট্যাটার্স দিয়েছেন।স্ট্যাটার্সে মানুষ কতটা অমানবিক হলে এমন দুর্ব্যবহার করতে পারে তা সকলকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করেছেন।সাথে সাথে পুলিশের মানবিক ভূমিকার কথাও তুলে ধরেছেন অনিক। এই স্ট্যাটাসে পরিবারটির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে শতশত মানুষ মতামত দিচ্ছে।মতামতে যারা সামাজিক ভাবে পরিবারটির প্রতি অমানবিক আচরন করেছে তাদের ধিক্কার আর পুলিশের মানবিক আচরনকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। স্ট্যাটাসে এইচএসসি পাশ শিক্ষার্থী অনিক লিখেছেন আমার বাবা করোনা পজিটিভ হওয়ায় প্রশাসন থেকে যখন বাসা লকডাউন করা হয় সাথে সাথে এলাকাবাসীরা বাসায় হানা দেয়,আমাদের প্রয়োাজনীয বাজার,ঔষধ নিতে বাধা সৃষ্টি করে।এমনকি বাসায় ঢিল ছোডা শুরু করে।তখন আমরা বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন করি।সাথে সাথে ওসি সাহেব কিছু পুলিশ সদস্যসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এর পর থেকে নিযমিত পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার ও ওসি সাহেব আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। আমি,আমার মা হাসপাতালে থাকা পর্যন্ত আমাদের পরিবারের যেসব সদস্যরা বাসায় ছিলেন তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী,ফলমূল ও খোঁজ খবর নিতে এমনকি হাসপাতালেও আমাদের জন্য খাবার,পানির ব্যবস্থা করতে ওসি সাহেব নিজে করেছেন। করোনা পজেটিব হওয়ার পর গত ১৬ জুন মঙ্গলবার রাতে বাবার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। একে তো অনেক রাত তার উপর আবার করোনা রোগী এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। এরপর ওসি সাহেব আর পিডিবি শেরপুর প্রধানের অনুরোধে সিভিল সার্জন সাহেব একটা অ্যাম্বুলেন্স দেয় কিন্তু হাসপাতালে আনার পরই আমার সামনে আমার বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যোগাযোগ করা হলে অনিক আবেগ তাড়িত হয়ে প্রশ্ন করেছেন.আমরা করোনা আক্রান্ত হয়ে কি মহাপাপী হয়ে গেছি? পুরো অসহায় পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে যখন প্রতিবেশীদের কাছে নিগ্রিহিত হয়েছি তখন পুলিশ আমাদের সহযোগীতা ও সাহস যোগিয়েছে। প্রলিশের কাছে চির ঋনি হয়ে গেলাম। বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন সার্বক্ষনিক সাথে থাকা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন। ওই পরিবারের প্রতি এমন আচরণ কোন ভাবেই কাম্য নয়।বিষয়টি প্রথম আমাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসন জানান। সাথে সাথে পুলিশ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।রাত ব্যাপি বাড়ীর সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি তদারকি করেছেন।পবিরারের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।