বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বোরো ধান মাটিতে মিশে গেছে। কৃষি বিভাগের মতে শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ফসলের। তবে কৃষকের মতে ক্ষতির পরিমান আরো বেশী। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস এই তথ্য প্রকাশ করে। এর আগে বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ব্যাপক শিলা বৃষ্টি হয়। সরেজমিনে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরা ধান পরিপক্ক হয়ে হলুদ বর্ন ধারন করেছে। এক সপ্তাহ পরেই কৃষক ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে করনো ভাইরাসের কারণে অন্য জেলা থেকে ধান কাট শ্রমিক আসতে না পারায় কৃষক ধান কাটা নিয়ে যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিলেন ঠিক সেই সময় শিলা বৃষ্টি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধান ছাড়াও আম লিচুসহ ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলের। শুধু ফসল নয়, শিলের আঘাতে অসংখ্য বাড়ির টিনের চালা ছিদ্র হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এই উপজেলায় ২০ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে শিলাবৃষ্টিতে ভাটরা ইউনিয়নে ১৪০ হেক্টর ও নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নে ১১৫ হেক্টর জমির আধা-পাকা ধান ক্ষতি হয়েছে। যার প্রাথমিক তথ্যমতে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (চাল আকার) ক্ষতি হতে পারে। তবে কৃষি বিভাগের হিসেব মানতে নারাজ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। তাদের মতে ক্ষতির পরিমান আরো অনেক বেশী। উপজেলার গোছন গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন, রফিকুল ইসলাম জানান, ঋণ করে জমি পত্তন নিয়ে দুইজনে ৭ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। তারা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শিলাবৃষ্টির আঘাতে জমির পাকা ধান মাটিতে ঝড়ে পড়েছে। উপজেলার কৈডালা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এবার তিনি প্রায় ৭৫ বিঘা জমিতে সুগন্ধি কাটারি ধান চাষ করেছেন। ধান গোলায় তোলার আগেই সবকিছু সর্বনাশ করে দিয়েছে আকস্মিক শিলাবৃষ্টি। জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু বলেন, শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক এই দূর্যোগে এখন পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্যে ২৫৫ হেক্টর জমির আধা-পাকা ধান ক্ষতি হয়েছে।