মীর আলাউদ্দিন : ভারতে নিষিদ্ধ কল সেন্টার এখন বাংলাদেশের ঢাকায় বিভিন্ন কমার্শিয়াল এরিয়ায় গড়ে উঠেছে। এ সকল নিষিদ্ধ কল সেন্টারের গডফাদার মিরপুরের পল্লবীর এভিনিউ ৫ এর বাসিন্দা রুবেল হোসেন। তিনি সর্বপ্রথম ঢাকায় ভুয়া এই কল সেন্টারের ব্যবসা চালু করেন ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন কল সেন্টারের বিশাল এক মাফিয়া সিন্ডিকেট।
এখন তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কল সেন্টারের বেশ কয়েকটি বড় বড় কোম্পানি তার এই কোম্পানি গুলোর নাম হচ্ছে :
১.. Rubel office
২..Tetsuo International Limited
৩.. Leopard calling service 1
৪.. Leopard calling service 2
সহ আরো একাধিক কোম্পানি বর্তমানে তাকেই বলা হচ্ছে বাংলাদেশের কল সেন্টারের মাফিয়া গডফাদার।
এই নিষিদ্ধ কল সেন্টারগুলো ভারতীয় নাগরিকদের ইমারজেন্সি লোন সুবিধার ফাঁদে ফেলে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের মুঠোফোনে থাকা যাবতীয় সকল তথ্য। পরবর্তীতে পরিচয় পত্র থেকে ছবি নিয়ে সেই ছবির সাথে জুড়ে দিচ্ছে অশ্লীল ছবি সেই অশ্লীল ছবি বা পর্ন ছবি দেখিয়ে নিরীহ গ্রাহককে করা হচ্ছে ব্ল্যাকমেইলর মাধ্যমে।
এছাড়াও গ্রাহকের মুঠো ফোনে থাকা সংগৃহীত সকল নাম্বারে ফোন দিয়ে দেখানো হচ্ছে ভয়ভীতি। করা হচ্ছে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক নির্যাতন। এছাড়াও এই কল সেন্টার গুলো পরিচালনা করছে অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম ও চায়নায় টাকা পাচারের প্রক্রিয়া।
এই সকল অবৈধ কল সেন্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিলন ঢালী তিনি বলেন, ভারতে নিষিদ্ধ এ সকল কল সেন্টারগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে বাংলাদেশে। তাই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।