প্রশিকার কোটি টাকা লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, পাম্পের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে শান্তির প্রতিবাদ, এলাকায় শফি ও তার ছেলের সন্ত্রাসী কাজের প্রতিবাদ করা,
নিজেস্ব প্রতিনিধি : কথিত আওয়ামীনেতা নেতা শফির বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় কাল হলো শিরিন শান্তির। আলোচিত ঘটনা প্রশিকার কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে চা দোকানদার শফির বিরুদ্ধে আপোষহীন নেত্রী শিরিন শান্তি বারবার প্রতিবাদ চালিয়েছেন। এই টাকার গঞ্জনা সইতে না পেরে শফির বোনও আত্নহত্যা করেছেন কয়েক মাস আগেই।
হামলাকারী শফি
এছাড়া শফি ও তার ছেলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করলে বারবার বাধা হয়ে দাগান শিরিন শান্তি। এমনকি যে বাড়িতে ষশফি বসবাস করছে সেই বাড়ির জায়গাটি পানির পাম্প এর জন্য বরাদ্দ ছিল সেটা নিয়েও শিরিন শান্তি ছিল প্রতিবাদী তাই বারবার শফির চেষ্টা থাকে শিরিন শান্তিকে শায়েস্তা করার যার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন বলে জানান পল্লবী থানা আওয়ামী মহিলালীগের নেত্রী শিরিন শান্তি। এই সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার বাসাবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং তার স্বামী ও ছেলে মেয়েকে মারধর করে, হামলা থেকে রক্ষা পাইনি তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানটিও। ওই হামলার ঘটনায় শিরিন শান্তি বাদী হয়ে পল্লবী থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মামলার আসামিরা হলো মোঃ শফি, সবুজ, ফয়সাল, ফেরদৌস। ১৯ মার্চ তার বাসার কর্মচারী শামিম বাসায় আসার পথে তাকে আঘাত করে শফি,এ আবস্থায় রিকশা থামাতে বললে আসামি শফি শামিমকে বকাবকি করে, এর মধ্যে শফির ছেলে সবুজ হঠাৎ করে এসেই মারধর শুরু করে। জীবন বাচাঁতে শামীম শিরিন শান্তির বাসার ভিতর আশ্রয় গ্রহন করে। এরপর রাত ৯.৪০ মিনিটে আসামিরা লোহার রড কাঠের বিট সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে বাসার ভিতর আক্রমণ করে। শামিম কে মারধর করা শুরু করলে শিরিন শান্তির স্বামী ওয়াজউদ্দিন ছেলে মোঃ সৈকত
শিরিন শান্তির ছেলে আহত সৈকত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
ও মেয়ে মুক্তা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা শিরিন শান্তির স্বামী ওয়াজ উদ্দিনসহ ছেলে ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাতে, পায়ে, মাথায় সহ বিভিন্ন ধরনের জখম করে এবং তার মেয়ের শ্লীলতাহানির করে। তাদের কাছে থাকা চেইন,ব্রেসলেটসহ নগদ টাকা যার আনুমানিক মূল্য (১,৬০০০০) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আশে পাশের লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায় এবং যাবার সময় বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যায়। পরবর্তীতে মানুষের সহযোগিতায় ছেলেকে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্বামী ও মেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। তিনি আরো জানান মামলা করার পর থেকে আসামিরা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজন কে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দিচ্ছে। শিরিন শান্তি বলেন এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখলাম না,কারন আসামির সবাই উন্মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে আমার খুব আতংকে আছি। এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃআব্দুর রহিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখনো কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করছি।