ডেস্ক সংবাদ : বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজার ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তi.থ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১০ লাখ ১৫ হাজার ৭০৯ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ৪০৯ জন (৮০ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৩ হাজার ৬৯ জন (২০ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, করোনায় মার্চের শেষ সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন সংক্রমিত হয়েছেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ। গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। গত এক সপ্তাহের করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে, কোনো সংস্থাই এ নিয়ে পূর্বাভাস দিতে পারছে না। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা শুধু ভবিতব্যই জানে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা দিনদিনই খারাপ হচ্ছে। দেশটির একটি গবেষণা সংস্থা এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, মধ্য এপ্রিল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক দুই হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। হোয়াইট হাউসও বলেছে, করোনায় দেশটিতে এক লাখ থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতালির পথেই অগ্রসর হচ্ছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি বিভাগ মরদেহের জন্য এক লাখ ব্যাগ চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হোয়াইট হাউসে এক গোপন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন সরকার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গোপন করেছে। এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সরকারি সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বেইজিং সেখানকার অবস্থা বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে ‘ভালো দেখাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই ব্রিফিংয়ে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, চীনের দেওয়া আক্রান্ত ও মৃতের হিসাব ঠিক কিনা, তা জানার কোনো উপায় নেই।