সাঈদুর রহমান রিমন : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে মানব পাচারকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত অপরাধীদের সর্বোচ্চ গুরুত্বের ভিত্তিতে গ্রেফতার এবং মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ওই নির্দেশনার সঙ্গে মানব পাচারকারীদের একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে। এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে থানা পুলিশ, জেলা ডিবি এবং আরেকটি জাতীয় পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থাও পৃথক পৃথক ভাবে মানব পাচারকারীদের তালিকা প্রনয়ন করে। এসব তালিকা থেকে মানব পাচার কর্মকান্ডে সবচেয়ে তৎপর থাকা সদস্যদের নাম-ঠিকানা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। মানব পাচারে সারাদেশে বিশাল এক জাল বিস্তৃত করেছে একটি চক্র। সম্প্রতি সরকারের একটি দায়িত্বশীল গোয়েন্দা সংস্থা মানব পাচারসংক্রান্ত প্রতিবেদনটিতে উলেখিত মানব পাচারকারীদের তালিকা ও তথ্য পর্যালোচনা করে চমকপ্রদ সব তথ্য পাওয়া গেছে। দেশে মানব পাচার চক্রে জড়িত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতা, প্রভাবশালীমহল সম্পৃক্ত রয়েছে। পাচারে জড়িত বাহকরা ধরা পড়লেও রাঘববোয়ালদের টিকিটিও স্পর্শ করা যাচ্ছে না। সাধারণত জোর করে আটকে রেখে শ্রম, যৌনদাসত্ব বা ব্যবসায়িক যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত রাখতে সংঘটিত অবৈধ বাণিজ্যকে ‘মানব পাচার’ বলা হয়। মানব পাচারকে অনেকে ‘আধুনিক দাসত্ব’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। জোর করে যৌনশোষণমূলক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। বিদেশের মাটিতে গিয়ে টোকেন ভিত্তিতে ডান্স বারের আড়ালে যৌনব্যবসা করছে এ চক্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে মানব পাচারকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত অপরাধীদের সর্বোচ্চ গুরুত্বের ভিত্তিতে গ্রেফতার এবং মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ওই নির্দেশনার সঙ্গে মানব পাচারকারীদের একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে। এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে থানা পুলিশ, জেলা ডিবি এবং আরেকটি জাতীয় পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থাও পৃথক পৃথক ভাবে মানব পাচারকারীদের তালিকা প্রনয়ন করে। এসব তালিকা থেকে মানব পাচার কর্মকান্ডে সবচেয়ে তৎপর থাকা সদস্যদের নাম-ঠিকানা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।মূল হোতা হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠানকে গোয়েন্দারা চিহ্নিত করেছে সেগুলো হচ্ছে, নয়াপল্টনের কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফকিরাপুলের অ্যারাবিয়ান প্লেসমেন্ট, বনানীর মেঘনা ট্রাভেলস ও বাড্ডার মেসার্স ট্রাভেলস।
এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব দালালরা সারাদেশে ততপর রয়েছে তারা হচ্ছে: মানব পাচারকারী ও মানব পাচারে সহায়তাকারী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার ১৫ জনের নাম রয়েছে তালিকাটিতে। তারা হলেন- বন্দর থানার দক্ষিণ কলাবাগ এলাকার রাজু মিয়া ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম জোছনা, শুভকারদী এলাকার চৌকিদার আসাদুল্লাহ, পুরাতন বন্দর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া, রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার, আড়াইহাজার থানার তরকারি পট্টির নিশাত এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার দুলাল, ফতেপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার জহির উদ্দিনের ছেলে বাসেদ, দাবুরপুড়ার হারুন, একই এলাকার কমর উদ্দিনের ছেলে জামাল, মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার, লাল মিয়ার ছেলে মঞ্জুর, আড়াইহাজারের লতুবদী এলাকার চান মিয়ার ছেলে সিরাজ, আউয়াল ফকিরের ছেলে আফাজ উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্দিক ও সদর থানার একরামপুরের আমির হোসেন।
মানিকগঞ্জের তালিকায় ১৭ জন রয়েছেন তারা হলেন- ধামরাইয়ের ধল্যার ফোর্ড নগরের আফসার ফকির, ফটকনগরের মালেক ফকির, চর ঘোস্তার মৃত নোয়াব আলীর ছেলে আনছার আলী, ইদ্রিস আলী, ঘিওরের বাঠইমুরীর হানিফ আলীর মেয়ে শিল্পী আক্তার, রিজিয়া বেগম, গোপিনপুর হাটিপাড়ার জহুরা বেগম, একই এলাকার মৃত আফছার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ মেম্বার, হাছেন তালুকদারের ছেলে ইউসুফ আলী, জালাল উদ্দিন, মোছাম্মৎ রাশেদা, বাসানী খাতুন, জামেলা, সিংগাইরের চর গাজিন্দার রিয়াজ উদ্দিন খাঁর স্ত্রী মোছা. হেনা, একই এলাকার ইবারত খাঁর মেয়ে আকলিমা ও ফিলিপ।
তালিকায় গাজীপুরের যারা রয়েছেন তারা হলেন- শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে ফাইজুল ইসলাম। তার স্থায়ী ঠিকানা :নেত্রকোনার কলমাকান্দার রাজনগর। এ ছাড়া রয়েছেন শ্রীপুরের আবদার গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে আছিয়া বেগম, কাপাসিয়ার সুলতানপুরের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম, কালীগঞ্জের শীতলপুরের আকবর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম লিটু, বাসাইলের গুলজার হোসেনের ছেলে আব্বাস আলী, সদর থানার প‚বাইলের নুর ইসলাম, মরিয়ম ও কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়ার চাঁন মিয়া।
নরসিংদী জেলায় মানব পাচার ও পাচারে সহায়তাকারীর সংখ্যা আট। এদের মধ্যে রয়েছেন নরসিংদী সদরের চৌয়ালা এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে জামাল উদ্দিন, বাদুয়ার চরের মৃত মোরল মিয়ার ছেলে মুকুল, রায়পুরার দরিয়া হাইরমারার হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহন, মকবুল হোসেন মুক্কুর ছেলে তুষার, মুস্তা মিয়ার ছেলে বাবুল, শিবপুরের কুতুবারটেকের রূপ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, খাদিমারচরের মৃত মোস্তফার ছেলে এমরান ও মনোহরপুরের রওশন আলীর ছেলে মিশু মিয়া।
তালিকায় জামালপুরের যারা রয়েছেন তারা হলেন- জামালপুর সদরের ফকিরপাড়ার মৃত আবদুল মজিদ ফকিরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বিপুল, সদরের চাঁদপুর এলাকার মৃত মোকছেদ মাস্টারের ছেলে বুলবুল আহম্মেদ, একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, মেলান্দহের ঘোষেরপাড়ার মো. আব্দুল্লাহ, আবদুল মোতালেব ও আব্দুল্লাহ ও হাজারীবাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলাম ওরফে ঊর্মি হাজারী।
কিশোরগঞ্জে ১৩ জন :কিশোরগঞ্জের তালিকায় রয়েছেন মিঠামইনের পুরানকান্দি এলাকার আব্দুল বারিকের ছেলে নবী হোসেন, ভৈরবের ধন মিয়ার ছেলে কাউসার, জগন্নাথপুরের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে খোকন মাহমুদ, লাল মিয়ার ছেলে আলাল মিয়া, মৃত রকিব উদ্দিনের ছেলে জাফর আহমেদ, অষ্টগ্রামের আব্দুল্লাহপুরের মৃত হাসান আলীর ছেলে পলাশ, রহমত আলীর ছেলে মফিজ মিয়া, একই এলাকার রহিচ মিয়া, জালাল মিয়া, কটিয়াদীর শত্রুধন এলাকার সুন্দর আলীর ছেলে রতন মিয়া, মতিউর রহমানের ছেলে তোতা মিয়া, চান মিয়া ও কিশোরগঞ্জ সদরের মনাপাশার মৃত বুলু চৌকিদারের ছেলে মো. জয়নাল।
তালিকাভুক্ত ফরিদপুরের সাতজনের মধ্যে রয়েছেন- রাজৈরের দুর্গাবর্দীর আমজাদ মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা, ভাঙ্গার মোতালেব শেখ, পান্না মোল্লা, কাউসার, লিয়াকত ঢালী, ইকবাল হোসেন ও মুকসুদপুরের আব্দুস সালাম।মাদারীপুরের তালিকায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও রয়েছেন। তিনি হচ্ছেন রাজৈরের কদমবাড়ির মৃত অর্জুন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস। এ ছাড়া তালিকায় আছেন- মৃত হালান শেখের ছেলে খালেক, হোসেন শেখ, কালকিনির সিরাজুল বেপারি, রাজৈরের বদর পাশার জাকির সেপাই, রজব আলীর ছেলে বাবু, রুবেল বেপারি, জামাল বেপারি, পশ্চিম মাঠ এলাকার আলমগীর কাজী, সজীব শিকদার, মনির হোসেন মাতুব্বর, গোসাইদিয়া এলাকার রফিক খান, পলাশ কাজী, নুরুল ইসলাম খলিফা, রাজৈরের শ্রীকৃষ্ণদী এলাকার লোকমান ফকিরের ছেলে ডুগলু ফকির ও রনি মোল্লা।
তালিকাভুক্ত শরীয়তপুরের তিন মানব পাচারকারী হলেন- নড়িয়ার ভ‚মখাড়া এলাকার আবদুল মাতবরের ছেলে আক্কাস মাতবর, পোড়াগাছার আব্দুল আজিজের ছেলে শামসুর রহমান ইদ্রিস ও মাইজপাড়ার বাদশা শরীফের ছেলে রেজাউল হক।
রোহিঙ্গা শরনার্থীরা ব্যাপকভাবে টেকনাফ-উখিয়ায় জনবসতি গড়ে তোলার পর থেকে কক্সবাজার কেন্দ্রীক মানব পাচারকারী দালালদের ততপরতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দালালদের বড় একটি অংশ সাগর পথে থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে শত শত বাংলাদেশি নাগরিককে আরেক বিভীষিকার ফাঁদে ফেলার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
সাগরপথে মানব পাচারকারী দালালরা হচ্ছে:কক্সবাজার ইসলামপুর গ্রামের আব্দু শুক্কুরের ছেলে নাসির প্রকাশ নাসিজ্যা (৩২), রামু থানার খুনিয়া পালং গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাহমুদুল হক (৩৫), মোঃ কালুর ছেলে নুরুল কবির বাদশা (৩৮), পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মুজিবুল হক (৪০), রামু থানার দারিয়ারদিঘি গ্রামের মৃত নজির আহম্মদের ছেলে মফিজুর রহমান (৩৫), উত্তর বড়বিল গ্রামের মৃত বোবা কালুর ছেলে মোঃ এরশাদ (২২), মনখালী গ্রামের মৃত রহমত শরিফের ছেলে তোফায়েল আহম্মদ (২৭), মৃত নজির আহম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩৩), চোয়াংখালী গ্রামের মৃত মোঃ হোছাইনের ছেলে মোঃ সাইফুল্লাহ ভুলু (৪০), ইমামের ডেইল গ্রামের মৃত মাহমুদুল্লা মেম্বারের ছেলে বেলাল (৩০), মোঃ শফির বিল গ্রামের মৃত খুইল্লা মিয়ার ছেলে মোঃ মোস্তাক (২৬), পশ্চিম সোনার পাড়া গ্রামের মৃত কাদির হোছন বৈদ্যের ছেলে নুর কবির (৫৫), ডেইল পাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ শফিক (৩০), মোহাম্মদ শফির বিল গ্রামের মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুস ছালাম (৩০), মৃত নুর আহম্মদের ছেলে জমির আহম্মদ (৩০), রামু এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে মোস্তাক আহম্মদ (৪২), টেকনাফের নয়াপাড়ার আমির হামজ, চোয়াংখালীর কালা মিয়ার ছেলে জাহেদ মেম্বার, মনখালীর মনির আহম্মদের ছেলে নুরুল আবছার প্রকাশ ধইল্যা (৩৮), রূপপতির ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৬), চেপটখালীর মোঃ শাকুরানের ছেলে আব্দুল জলিল (৩৫), মৃত ছৈয়দ করিমের ছেলে নবী হোছন (৪২), সোনার পাড়ার সাদেক আলী (৫০), শাপলাপু গ্রামের শামশু প্রকাশ বাঘা শামশু, চোয়াংখালী গ্রামের বদি আলমের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩৫), জাহেদ মেম্বার (৩৬), সোনার পাড়া গ্রামের কালা জমির (৪০), মাগুরা জেলার শালিকা গ্রামের মোঃ ইসমাইলের ছেলে মোঃ হাকিম।
টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নুর হোছাইন (২৪), মৃত জমির হোসেনের ছেলে মোঃ নাগু (৩৫), নাজির পাড়া গ্রামের মৃত মনি উল্লাহর ছেলে কামাল (৩০), কাটাবনিয়া গ্রামের ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ রফিক, আব্দুল মাজেদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মোজাহের মিয়া, যশোর ঝিকর গাছা গ্রামের আজিজুল (৩৮) নরসিংদীর চর আড়ালিয়া গ্রামের এমরান, মোমেন (৩৫), মাদারবুনিয়ার আব্দুল জলিল, লম্বরী পাড়ার বেলাল প্রকাশ লাল বেলাল (৩৫), পশ্চিম সোনার পাড়ার জালাল উদ্দিন, চেপটখালীর ফয়েজ প্রকাশ ফয়েজুর রহমান (৩৫) আবুল কালাম, কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের আলী আহম্মদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৮), আমিন উল্লাহ নাগুর ছেলে মোঃ ফারুক (১৯), শামশুল আলমের ছেলে জোবাইর হোসেন (২০), কক্সবাজার কালুর দোকান এলাকার রোহিঙ্গা মোঃ জুহারের ছেলে মনজুর আহম্মদ (১৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে কাশেম (৪০), জাহিদ হোছাইনের ছেলে আবুল কালাম (২৬), চট্টগ্রাম কর্ণফুলি চিরারটেক গ্রামের রোহিঙ্গা মোঃ আজিম (৩৬), উখিয়ার রূপপতি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জমির মিয়া, গফুর মিয়া (৩৮)। কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের সেকান্দরের ছেলে আবু ছৈয়দ (২৬), আবু ছিদ্দিক (৩০), চোয়াংখালী গ্রামের শামশুল হকের ছেলে ছলিম উল্লাহ (৩০), মাদারবনিয়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল (২৫), জালিয়া পালং ডেইল পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ আবু তাহের (৩৫), আহম্মদ হোছনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮), রফিক উল্লাহ (৩০), রহমত উল্লাহ (৩২) কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মৃত ফোরকান আহম্মদের ছেলে রবিউল আলম (২২) পশ্চিম সোনার পাড়া গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮), কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের মৃত ফারুক আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আমিন (২৭), হাছু মিয়ার ছেলে হামিদ হোসেন (২২), জাফর আহম্মদের ছেলে আরিফ উল্লাহ (২০), শফি উল্লাহর ছেলে ছৈয়দ কাশেম (১৯), কামাল হোছনের ছেলে রশিদ উল্লাহ (২০), উলা মিয়ার ছেলে মোঃ কালু (২০), সোনার পাড়া গ্রামের মির আহম্মদ মিরু বলির ছেলে মোঃ শফিউল আলম (৩০), নাজির হোছন নাজুর ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৮), শামশুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮)। টেকনাফের শাপলাপুর পুরান পাড়ার শফি উল্লাহর ছেলে আশিক উল্লাহ (২০), শহীদুল্লাহ (৩২), মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে শফি উল্লাহ (৬০), বাহার ছড়ার মৌলভী আজিজ উল্লাহ (৩৫), সোনার পাড়া গ্রামের মৃত কাদের হোছাইন বৈদ্যর ছেলে নুরুল কবির (৪০), নুরুল কবিরের ছেলে নুরুল আবছার (২০), বশির আহম্মদের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৫), মোঃ ইলিয়াছের ছেলে সাগের আলী (৩০), নুরুল আলম মাঝি মোঃ আলম (৩৫), সোনাইছড়ি গ্রামের হাতী সোলতানের ছেলে জিয়াউল হক (৩৮), শফি আলম (৩৮), মনখালী গ্রামের মোহাম্মদ হোছন (৪৫), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (২৮), মোঃ ফয়সাল (৩২) ও মোহাম্মদ হোছাইন (৩৫)।