বরিশাল প্রতিনিধি : সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বরিশাল মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার না হতেই রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই আদেশ আসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মামুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রমতে, অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পরিচালক পদে বদলী করা হয়েছে। আর বরিশালের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে পরিতোষ কুমার কুন্ডুকে। লকডাউনের মধ্যেই মাদক নিয়ন্ত্রন অধিপ্তরে মাদক বিক্রির গুরুতর অভিযোগ এবং দায়িত্ব পালনরত ক্যামেরাপার্সনের উপর নগ্ন হামলার প্রতিবাদে শনিবার থেকেই তার বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা সোচ্চার হয়ে ওঠে। যাদের মাদক নিয়ন্ত্রন করার কথা, সেই মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসেই মাদক বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদে মিডিয়া কর্মীরা ছুটে গিয়েছিল। ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে ছবি তুলতে গেলে বাংলাভিশনের ক্যামেরাপাসন কামাল হোসেনকে টেনে হিচরে ভিতরে নিয়ে মারধর করা হয়। এ সময় তার ক্যামেরা ভেঙ্গে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সাংবাদিকরা। তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম ও র্যাব কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিপুল পরিমান মদ উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত মদ তাৎক্ষণিক মাটিতে ফেলে নষ্ট করা হয়। এরপর মাদকের গুদামটিতে সিলগালা করা হয়েছে। এসময় অতিরিক্ত পরিচালকক হাফিজুর রহমানকে অফিসেই পাওয়া যায়। এতে মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠে। অতিরিক্ত পরিচালকসহ হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক দেখা করেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সাথে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। রোববার ওই বির্তকিত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হলেও ক্যামেরা ভাংচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বাংলাভিশনের বরিশাল প্রতিনিধি শাহীন হাসান জানান, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিপ্তরের ডিজি তাকে জানিয়েছেন বরিশাল অফিসের সকল কর্মকর্তাকেই প্রত্যাহার করা হবে।