ডেস্ক সংবাদ : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সফলভাবে কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে সহযোগিতা ও সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছে চীন। ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান আজ রোববার এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে। হুয়ালং ইয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও চীন নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পাঁচটি চীনা সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান হুয়ালং ইয়ান। চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের অধীনে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে’ আছে বলে গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেইলি। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যায়ে মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করে ভ্যাকসিনটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এর সুরক্ষার বিষয়টি আরো বিশদভাবে মূল্যায়ন করা হবে। সংবাদ সংস্থা সিংহুয়ার খবর অনুযায়ী, চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা মোট ভ্যাকসিনের ৪০ শতাংশ চীনের। চীনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো কঠিন হতে থাকায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত ২০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।