মোঃ সোলায়মান : সেই ২০০০ সাল থেকেই জাল নোট তৈরির সঙ্গে যুক্ত হয় ফরিদপুরের সাইফুল ইসলাম ও পটুয়াখালীর শাহ আলম । গত বিশ বছরে দেশের বাজারে ছেড়েছে তাদের চক্রটি কোটি কোটি টাকার জাল নোট । তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে এ কাজে জড়িত রয়েছে বেশ কয়েকজন। এছাড়া দেশজুড়েই রয়েছে তাদের প্রতিনিধি ও ক্রেতা। এই চক্রের সদস্যদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব ১০-এর কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। গত বিশ বছরে কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজে জড়িত হয়েছে তারা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে কদমতলী এলাকা থেকে শাহ আলমকে প্রায় দুই লাখ জাল টাকাসহ
সাইফুল ইসলাম ও শাহ আলম
আটক করে র্যাব। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধানমন্ডির ৭/এ সড়কে কারখানাটির সন্ধান পায় র্যাব-১০। শুক্রবার সকাল থেকে বাসাটির তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে এক কোটির বেশি টাকার মূল্যের জাল নোটসহ সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। তাদের আটকের প্রসঙ্গে র্যাব ১০-এর অধিনায়ক বলেন, চক্রটি বহু বছর ধরে কোটি কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। এবার প্রচুর জাল নোট বাজারে আসবে, এমন তথ্য আমাদের কাছে ছিল। সে অনুযায়ী একটি টিম এই চক্রকে ধরতে কাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কারখানাটির সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০০০ সালে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত হয় তারা। গত পাঁচ বছর ধরে এই চক্রের সদস্যরা ধানমন্ডির বাড়িতে কারখানা স্থাপন করে জাল নোট ছাপিয়ে আসছিল বলে জানান, র্যাব ১০-এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা বাড়িটি তল্লাশি করে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জাল নোট পাওয়া গেছে। যেগুলো ৫০০ ও ১০০০ টাকার। সারাবছর জাল নোট ছাপানো অব্যাহত থাকলেও ঈদ ও বড় উৎসবকে টার্গেট করে বেশি পরিমাণে নোট ছাপানো হয় বলে জানান র্যাব ১০-এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান। ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে ডায়াস, কাগজ, প্রিন্টার, কেমিক্যালসহ জাল নোট তৈরির সব ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে বলে জানান মেজর শাহরিয়ার। তিনি বলেন, এই চক্রের বেশ কিছু সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply