নিজেস্ব প্রতিনিধি : রাজধানী মিরপুর পল্লবীতে আওয়ামী নেত্রীর বাসায় গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন বলে জানান পল্লবী থানা আওয়ামী মহিলালীগের নেত্রী শিরিন শান্তি। এই সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার বাসাবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং আওয়ামীনেত্রীর স্বামী ও ছেলে মেয়েকে মারধর করে, হামলা থেকে রক্ষা পাইনি তার ব্যবসায় প্রতিষ্টানও। এই হামলার শিকারের ঘটনায় শিরিন শান্তি পল্লবী থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি চার জন হলো মোঃ শফি, সবুজ, ফয়সাল, ফেরদৌস। মামলার এজাহারে সুত্রে জানা যায় আসামিরা সব সময় তার বাসার সামনে আড্ডা দিত এবং চুরি,ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকের্ম লিপ্ত থাকতো। তাদের এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। একারণে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। ১৯ মার্চ তার বাসার কর্মচারী শামিম বাসায় আসার সময় রিকশা দিয়ে তাকে আঘাত করে,এ আবস্থায় রিকশা থামাতে বললে আসামি শফি শামিমকে বকাবকি করে, এর মধ্যে শফির ছেলে সবুজ হঠাৎ করে এসেই মারধর শুরু করে, তখন জীবন বাচাতে শামীম বাসার ভিতর আশ্রয় গ্রহন করে। এরপর রাত ৯.৪০ মিনিটে আসামিরা লোহার রড কাঠের বিট সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে বাসার ভিতর আক্রমণ করে। শামিম কে মারধর করা শুরু করলে শিরিন শান্তির স্বামী ওয়াজউদ্দিন ছেলে মোঃ সৈকত ও মেয়ে মুক্তা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দেবার কারনে তারা শিরিন শান্তির স্বামী ওয়াজ উদ্দিনসহ ছেলে ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাতে, পায়ে, মাথায় সহ বিভিন্ন ধরনের জখম করে এবং তাদের শ্লীলতাহানির করে।
শিরিন শান্তির ছেলে আহত সৈকত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তাদের কাছে থাকা চেইন,ব্রেসলে সহ নগদ টাকা যার আনুমানিক মূল্য (১,৬০০০০) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আশে পাশের লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায় এবং যাবার সময় বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যায়। পরবর্তীতে মানুষের সহযোগিতায় ছেলেকে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্বামী ও মেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। তিনি আরো জানান মামলা করার পর থেকে আসামিরা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজন কে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দিচ্ছে। শিরিন শান্তি বলেন এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখলাম না,কারন আসামির সবাই উন্মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে আমার খুব আতংকে আছি। এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃআব্দুর রহিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখনো কোন আসামিকে এরেস্ট করা যায়নি তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করছি।