জয়পুরহাট প্রতিনিধি : ১’শ বছর আগের তৈরী পরিত্যক্ত ভাঁঙ্গা মাটির ঘরে ৩০ বছর যাবৎ ঝুঁকিতেই চলছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বর্তমানে মাটির তৈরী ক্লাশ রুমের দেওয়াল গুলোর চারপাশ আড়াআড়ি ভাবে ফেটে গেছে কাঠের তৈরী দরজা জানালাতে ঘুন ধরে সব খেয়ে ফেলেছে ছাউনির টিনে অসংখ্য ফুটা হয়েছে যা দিয়ে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে শিক্ষার্থীর বই-খাতা ও শরীর ভিঁেজ যায়। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে কেঁচো মাটি তুলে সমস্ত ক্লাশ রুম ভরে ফেলে বর্তমানে উপজেলার প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আধুনিক মানের পাকা বিল্ডিংয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেলেও এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রায় চার’শ শিক্ষার্থীর সে সুযোগ পাচ্ছেনা। ঝড় বৃষ্টির সময় কখন যে প্রাণহানীর মত বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকায় থাকে শিক্ষার্থী/শিক্ষক মন্ডলী ও অভিভাবকরা। ১৯২২ সালে মাটি দিয়ে তৈরী করা ঘরে প্রথমে সড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করা হয়েছিল। মাটির ঘরগুলো পরিত্যক্ত ঘোষনা করে ১৯৯০ সালে সরকারি ভাবে অন্যত্র বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালে এলাকার কিছু বেকার শিক্ষিত যুবকরা পরিত্যক্ত ঘরগুলো দিয়েই সড়াইল উচ্চ বিদ্যালয় শুরু করেন। সে অনুযায়ী ৩০ বছর যাবৎ সড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসব ভাঁঙ্গা ঘরগুলোতে ঝুঁকিতে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রাফিয়া সুলতানা ও দশম শ্রেণীর ছাত্র হাসিব মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদিও বলেন বাংলাদেশ এখন ডিজিটালে পরিনত হয়েছে, তবে কেন আমরা সেই যুগের এমন ভাঙ্গা ঘরে এখনও ক্লাশ করতে হচ্ছে। তারা আরো বলেন, এমন শ্রেণীকক্ষে ক্লাশ করতে ভালো লাগেনা এবং পড়ালেখাতেও ভালো মন বসেনা ক্লাশরুম গুলো যদি পাকা হতো তাহলে আমাদের শিক্ষার মান আরো বাড়ত। সহকারি শিক্ষক নূর-নবী বলেন, উপজেলার অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রতি বছর আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ভালো হলেও আজও সরকারি ভাবে একটা পাকা বিল্ডিং বরাদ্দ পেলাম না। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ¦ বেলায়েত হোসেন তালুকদার বলেন সরকারের পদস্থ ব্যাক্তি ও বিভিন্ন দপ্তরে অনেক বার আবেদন করেও কোন ফল হয়নি।