নিজেস্ব প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত। গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ৯ এপ্রিল লাইলাতুল বরাত পালনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বাংলাদেশে ১৪ শাবানের রাতটি শবে বরাত নামে সমধিক পরিচিত। প্রতিবারের মতো এবারো এ রাতটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হবে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার নিজ নিজ বাসায় পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বছরে পাঁচটি পুণ্যময় রজনীর মধ্যে শবে বরাত অন্যতম একটি। শবে বরাতের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে মুক্তির রজনী। এ রাতে নিহিত রয়েছে মুসলমানদের মুক্তি ও কল্যাণের বিভিন্ন উপকরণ। তাই এ রাতকে বলা হয়েছে লাইলাতুল বরাত বা মুক্তির রজনী। এ রাতের ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মুসলমানদের গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। হাদিসে এ রাতের বহু কল্যাণ ও ফজিলতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত মুআয ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সা: বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে মাফ করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৫৬৬৫)। হজরত আলী ইবনে আবি তালিব রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করিম সা: বলেছেন যখন শাবানের ১৫তম রাতের আগমন ঘটবে তখন তোমরা সে রাতে কিয়াম করবে তথা রাত জেগে নামাজ পড়বে, আর দিনে রোজা রাখবে।