নিজেস্ব প্রতিনিধি : পহেলা বৈশাখের সকাল। ঘর ছেড়ে পথে পা রাখলেই মেলে ধরে এক অনিন্দ্য আনন্দ। পথ এগোতেই রমনার বটমূল থেকে কানে এসে লাগে শুদ্ধ সংগীতের সুর। বছরের প্রথম দিন সকাল বেলা সেই সুর হৃদয়কে করে শুদ্ধ। প্রাণ সঞ্চার করে হাজারও বাঙালি প্রাণে। একটু পরেই তার উল্লাস গিয়ে মিশে চারুকলা অনুষদে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি প্রমাণ করে অশুভ দূর করতে আমরা এক এবং একত্রিত। তবে এবারে সেই সুর একটু ভিন্ন। অশুভতা দূর করতে সকলে একত্র ঠিকই, তবে তা পুরোটাই ভিন্ন আঙ্গিকে। নতুন বছরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গানে গানে রমনার বটমূল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে আসছে ছায়ানট। ১৯৬৭ সালে সূচনার পর থেকে এটি দেশে নববর্ষের অবিচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০০১ সালে জঙ্গিদের বোমা হামলার পরও বন্ধ হয়নি এই আয়োজন। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রমনার বটমূলে নেই সেই কলরব। একই দৃশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেও। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সকাল বেলা যে জায়গাটি লাখ লাখ মানুষের কলরবে মুখরিত হয়, এখন সেখানেও ভর করেছে নির্জনতা। শাহবাগ থেকে টিএসসি অনেকটাই দেখা যায় একদৃষ্টে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর রমনার বটমূল এবং চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, সুনশান ও নিস্তব্ধ রমনার বটমূল এলাকার পুরোটাই। তালা ঝুলছে রমনা পার্কে প্রবেশের প্রধান গেটগুলোতে। প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কাউকেই। আর করোনা ভাইরাসজনিত দুর্যোগের সময় রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন না করে বরং বিপন্ন ও দুস্থ মানুষকে অন্ন যোগানোর কাজে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছায়ানট। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়নি মঙ্গল শোভাযাত্রাও।
জানিয়েছিলাম এবং আমরা জয়ী হয়েছিলাম। এই করোনার বিরুদ্ধে আমাদের যে যুদ্ধ তার জন্য আমাদের ঘরে অবস্থান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ সময় তিনি সবাইকে নিজ ঘরে বসে নিজস্ব আয়োজনে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি মনোযোগ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহ্বান জানান।