মোঃ জাফর : টঙ্গীতে নিখোঁজের তিন দিন পর এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে হোসেন মার্কেট এলাকার ডেসকো’র গোডাউনের পাশ থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ব্যক্তির অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম ইউনুস মোহাম্মদ শফিক মুন্সি (৫২)। তিনি শরিয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ থানার সখিপুর গ্রামের কামাল উদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইসমাইল হোসেন (৩৫) নামে তার এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ইউনুস পরিবার নিয়ে সৌদি আরব বসবাস করতেন এবং একই সাথে দু’দেশের নাগরিকও ছিলেন তিনি। গত ৩ মার্চ দেশে ফিরে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকায় তার বন্ধু ইসমাইলের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে গত শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাকে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর তিন দিন পর স্থানীয়রা ওই এলাকার ডেসকো’র গোডাউনের পাশে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেয়ালের সঙ্গে রডে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থা তার অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। গত ২/৩ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার দাবি করছেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো.এমদাদুল হক ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।