3rd, October, 2023, 5:47 am

নাগরিক টিভি বনাম সায়েম সোবহান ভেদ রহস্যটা কী?

=================
মঞ্জুর মোর্শেদ
প্রথমেই প্রশ্ন করি, আচ্ছা বলুন তো আপনার মতে একজন বেশ্যা না একজন চোর বড় শয়তান?
আমার উত্তর, অবশ্যই একজন বেশ্যা। একজন নারী যখন বেশ্যার খাতায় নাম লেখায় তখন সে সবচেয়ে নীচে নেমে যায়, যার নীচে আর কোনো কিছুই নাই।
অন্যদিকে, একজন চোরের চরিত্র, অবস্থা, অবস্থান যদিও নীচু প্রকৃতির বটে কিন্তু তার সেই প্রকৃতি থেকে তার আরো নীচে নামার ষ্টেজ রয়েছে।
বাড়ি ‘কুমিল্লাঐ’ …. মরে যাওয়া মেয়েটি ছিলো আসলে একজন পরিষ্কার চামড়ার, আকর্ষণীয় ফিগারের, যেকোনো পুরুষের মনের লোভনীয় দামি বেশ্যা। গত দুই বছর ধরে সায়েম সোবহানের সাথে তার যে সম্পর্ক ছিলো তার নাম কেউ গার্লফ্রেন্ড, কেউ রক্ষিতা আবার কেউ বা অবৈধ সম্পর্ক এমন অনেক নাম দিয়েছেন যদিও কিন্তু একথাটি ‘একশ-একশ’ যে আসলে সে ছিল একজন সুশ্রী কলেজ পড়–য়া পরিচয় বহনকারী বেশ্যাই।
দেখলাম যে নাগরিক টিভি আর সেই মেয়ের বোনটি মিলে প্রমানের মধ্যে মাত্র একটি প্রমাণই পেশ করেছে এবং তা হচ্ছে একটি ভয়েজ কলে সায়েম সোবহান সেই মেয়েকে তথা তার পালিত বেশ্যাটাকে সে চোর বলে অভিযুক্ত করছে। এইটুকুই।
তারপরও আজ গনমাধ্যমে চলছে চরম ফাটাফাটি! আদালত তাকে দেশের বাইরে যেতে নিষেধ করেছে!! ইত্যাদি ইত্যাদি!!!
আরো দেখলাম যে সেই শরীর ব্যাবসায়ী মেয়ের বোনটিকে ভিডিওতে, কথাতে ও দুঃখসহ বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিতে বলতে যে সায়েম সোবহান তাকে চোর বলে তিরস্কার করার কারণেই ..!!!!
অর্থাৎ নাগরিক টিভির গর্ভে জন্ম নেওয়া এই সংবাদটির বক্তব্যের কারণে সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সৃষ্টি হয়েছে যে মেয়েটার মৃত্যুর কারণ ঐ ধনী সায়েম সোবহানই। তিনি নাকি তাকে মৃত্যুতে প্রলুব্ধ করেছে এবং তা কি ভাবে?
ঐ যে সোবহান তাকে চোর বলছে!
একটি কথা ভেবে আমার খুব অবাক লাগলো, “আচ্ছা, ঐ মেয়ের বোনটা আর নাগরিক টিভি মিলে সবাইকে পটিয়ে কি মন্ত্রে বিশ্বাস করাতে পারলো যে একটা পালিত বেশ্যাকে তার পালনকারী নিজে চোর বলেছে আর তাতে ঐ বেশ্যার ইগোতে এতোই আঘাত লেগেছে যে সে লজ্জায়, ঘৃনায় রীতিমতো আত্মহত্যাই করে ফেললো….!!?
তার মানে ঐ মেয়ের বোন আর নাগরিক টিভির কথা মতো আপনারাও সবাই মনে করেন যে একজন বেশ্যা একজন চোরের চেয়ে হাই ক্লাসের প্রাণী? আর তাই তাকে চোর বলাতে …..!!!!
ভাই আমার কাছে আসলে বিষয়টা একদম অপরিষ্কার লাগছে। আসলে আমার কেন যেনো মনে হচ্ছে যে ওরা ঐ ধনী সায়েম সোবহানের মাল খসানোর পাঁয়তারা করছে এবং যেনো তা সাকসেসফুলও হয়েছে। কেনো না অবশেষে তো এটাও দেখলাম যে এই দেশের প্রশাসন, আদালতও তাদের তালেই মিলে গেছে, দিনের শেষের দিকে আদালতের বাট!
যদি তাই না হবে তবে আদালত কেনো সোবহানকে দেশের বাইরে যেতে নিষেধ করলো?
মনে হয় একেই দড়ি-ছাড়া বান বলে? এইবার যে বান খেয়েছে বসুন্ধরা পুত্র সায়েম সোবহান।
আমার মতে এর কারণ একটাই, “মূদ্রানীতি। আপনি কি মনে করেন? নাকি আপনি বলতে চান, “হুদাই, এটা আসলে অন্য কোনো খেলাখেলি?

হারুনর রশীদ : মন্তব্য
আপনি পারলেন,,এবং আসল কথাটা খোলাখুলি লিখেও ফেললেন?আমি কিন্তু দুদিন ধরে ভাবছি।আসলে রুচিতেই বাধতেছিলো,,প্রথমতো ওই উচ্চাভিলাষি মেয়েটা আত্মহনন করেছে(তার জন্য ধিক্কার ,, কারন ইহকাল পরকাল ফাইনালি শেষ করেছে) একজন কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লক্ষ টাকা ভাঁড়ার বাসায় থাকে যা তার পরিবারো যানে,,আজ তারাই নেকা কান্না করে নির্লজ্জর মত ভাবতেই অবাক লাগে।অর্থের জন্য মানুষ কত নিচে নামতে পারে?

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please